বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী উম্মে সালমা মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বলেন, “আবু সাঈদ, আবু রায়হানের মায়ের কান্না, পরিবারের আর্তনাদ এখনো আমাদের কানে ভাসে। ভ্যানে পড়ে থাকা সন্তানের লাশ একজন মা হিসেবে আমি আর দেখতে যাই না। যদিও পোষ্য কোটা আমার অধিকার। কিন্তুু মেধাবীদের সঠিক মূল্যায়নের জন্য আমি আমার পোষ্য কোটা চাইনা। আমরা এ কোটা কবর চাই।”
“পোষ্য কোটা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্ত পাক”, “কোটা না মেধা, মেধা মেধা”, “আবু সাঈদ-মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ”, “বাপের কোটা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক”, “মায়ের কোটা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক” এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শীতকালীন ছুটির আগে এ কোটার বিলুপ্ত চান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, “দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করার পর পোষ্য কোটার মতো একটা অযৌক্তিক কোটা বাতিল করার জন্য আমাদের আন্দোলনে নামতে হবে এর জন্য আমরা লজ্জিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০-২৫ জন শিক্ষক ছাড়া সবাই সবার আত্মীয়। এ পোষ্য কোটার জন্য আবু সাঈদ-মুগ্ধরা জীবন দেয়নি। জুলাই বিপ্লবে দেড় হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগ ও বিশ হাজারের বেশি ভাই-বোনের রক্ত এবং অঙ্গহানির বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে কোন অযৌক্তিক কোটা থাকতে পারে না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “পোষ্য কোটা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরনের বাহানা দেখাচ্ছে। আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের যুক্তি উপস্থাপন করছে। অথচ জুলাইয়ে আমাদের পাশে বসে তারা রাষ্ট্র সংস্কারের ডাক দিয়েছিলেন। আপনাদের যুক্তির ভ্যালিডিটি এই জুলাই বিপ্লবের কাছে টিকতে পারবে না। আপনাদের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা থাকলে এই পোষ্য কোটার মতো অযৌক্তিক কোটার পক্ষে আপনারা যেতে পারতেন না।”