আমরা সবাই তারুণ্য ধরে রাখতে চাই। কিন্তু বাদ সাধে আমাদের কিছু অভ্যাস, বলা চলে বদঅভ্যাস। কিছু নিয়ম মানলে সুস্থতা এবং তারুণ্য দুটোই নিজের নাগালে রাখতে পারবেন। সকালে পাঁচটি অভ্যাস গড়ে তুললে ধরে রাখতে পারবেন তারুণ্য। অনেক তারকাদের আমরা দেখে ভাবি তাদের কীভাবে এত বয়সের পরও তরুণ লাগে দেখতে। মূলত, তারা কিছু নিয়ম মেনে চলেন বলেই বয়সের ছাপ নেই তাদের শরীরে।
প্রতিদিন সকালে পাঁচটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে তারুণ্য অনেকটা ধরে রাখা সম্ভব- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ভেরি ওয়েল ফিটের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সকালের স্বাস্থ্যকর পাঁচ অভ্যাসের কথা। জেনে নেয়া যাক এমন কিছু ভালো অভ্যাসের ব্যাপারে।
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা:
সকালে ঘুম থেকে ওঠা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। অনেকেই দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন। সকালে ঘুম থেকে জাগা কঠিন বিষয় নয়, যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন। তারে সময়মতো ঘুমালেই এটা আয়ত্তে আনা সম্ভব। ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে বাঁচাতে ও মস্তিষ্ককে সচল রাখতে ছয় থেকে আট ঘণ্টা নিয়মিত ও নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস করুন। এছাড়াও ভোরের নির্মল বাতাস ফুসফুসের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনকেও তৃপ্ত করে। অন্যদিকে, বেলা করে ঘুম থেকে উঠলে কম সময় পাওয়া যায় কাজ করার। তাই নিজের যত্ন নেয়াও কঠিন হয়ে যায়। নিজেকে সতেজ আর প্রাণবন্ত রাখতে সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
পানি পান করা:
আমাদের শরীরের জন্য পানি খুব দরকার। শরীরের ৬০ শতাংশই জলীয় অংশ, তাই কোষগুলোকে সতেজ রাখতেও প্রয়োজন পর্যাপ্ত পানি। ঘুমিয়ে থাকার কারণে রাতে আমরা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানি পাই না। তাই ঘুম ভাঙার পর শরীরের রিহাইড্রেশনের জন্য উচিত এক গ্লাস পানি পান করা। কারণ, শরীর পানিশূন্য থাকলে ক্লান্ত লাগে সারাদিন। তাছাড়া পানি ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বকের খেয়াল রাখবে।
সকালে হাঁটা:
ঘুম থেকে ওঠার পর হাঁটার অভ্যাস করে ফেলুন। এটা শরীরের জন্য দারুণ কাজে দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খোলা বাতাসে হাঁটলে শরীর ও মন দুটিই ভালো থাকে। হাঁটার অভ্যাস শরীরের কোষগুলোকে সচল রাখে, সজীব করে। কারণ, তখন প্রতিটি কোষে বিশুদ্ধ রক্ত ও অক্সিজেন পৌঁছায়। এছাড়া প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলে শরীরের বাড়তি মেদ কমে।
সঠিক নাশতা:
সকালে নিয়ম করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য সকালে না খেয়ে থাকেন, এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। এতে লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি হয়। ডায়েটেশিয়ানরা বলেন, সকালেই খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার, যা থেকে সারাদিন কাজ করার শক্তি পাওয়া যাবে। তাই সকালের নাশতায় মনোযোগী হওয়া উচিত।
কার্যতালিকা তৈরি:
সারাদিন আমাদের নানা কাজ থাকে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চা-কফি খেতে খেতে সারাদিনের কার্যতালিকা করে নিতে পারেন। এই অভ্যাস আপনার সময় বাঁচাবে, সঙ্গে সারাদিন কী করতে হবে সে নিয়ে আর ভাবতে হবে না। আবার সারাদিন কীভাবে কাটাবেন সে তালিকা থাকলে নিজের জন্য সময় বেড় করে নিজেকে সময় দিতে পারবেন। সুস্থ থাকার জন্য নিজের যত্ন নিতে হয়।