* মিষ্টি বা চিনিযুক্ত আঠালো খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, ক্যান্ডি, ব্রেড ও ভঙ্গুর মচমচে মিষ্টি চিপস ইত্যাদি খাবার।
* কার্বোনেটেড কোমল পানীয়তে প্রচুর চিনি, ফসফরিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড থাকে। এগুলো এনামেলের জন্য ক্ষতিকর।
* কফি, অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। কারণ তা লালা নিঃসরণ কমিয়ে দেয়।
মিষ্টি খাবারগুলো বা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলো অনেক সময় আমাদের প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে খেতে হতে পারে; কিন্তু তা যেন আমাদের দাঁতে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
* প্রথমে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। পরে মিষ্টি খাবার খেতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার প্রথমে খেলে মুখ থেকে লালা নিঃসৃত হবে, যা ক্ষতি কিছুটা প্রশমিত করবে।
* প্রতিদিন দুইবার ১২ ঘণ্টা অন্তর ব্রাশ করতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিবার খাবার পর ব্রাশ করতে হবে।
* প্রতি রাতে একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।
* মিষ্টি ও আঠালো খাবার গ্রহণের পর ব্রাশ করতে হবে।
* ফল বা ফলের রস পান করার কুলকুচি করতে হবে।
* দ্রুত ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে এবং পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
* ক্ষতি জটিলতর অবস্থায় না চলে গেলে প্রফেশনাল ডেন্টাল কেয়ার জন্য যা করার দরকার তা করতে হবে।
* ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে বা ডেন্টিস্টের কাছে বার্ষিক ভিজিট নিশ্চিত করতে হবে।
* আমাদের মনে রাখতে হবে, বেশি ক্ষতি হলে সময় ও খরচ উভয়ই বেড়ে যায়। তাই আগে থেকে সচেতন হোন, দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখুন। দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকলে দেহ সুস্থ থাকবে।