নিয়মিত পড়াশোনা করেন যারা তাদের ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠার পরামর্শ দেন অনেকেই। বিজ্ঞান বলছে ভোরবেলায় পড়াশোনা করলে তাতে পড়ায় মনোযোগ থাকে এবং উপকারও পাওয়া যায় বেশি। আবার নানা গবেষণা বলছে ভোরে যদি ঘুম থেকে উঠা যায় তাহলে চারপাশের পরিবেশ শান্ত থাকে, ফলে পড়াশোনা হোক বা শরীরচর্চা সব কাজেই ভাল মনঃসংযোগ হয়।
এছাড়া রয়েছে আরো অনেক উপকারিতা।আজকের প্রতিবেদনে জানাব সেই সব কথা। তাহলে জেনে নিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা কী কী।
কারণে বাড়তে পারে উদ্বেগ
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে গেলে এবং ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করলে জীবনে নিয়ম-শৃঙ্খলা আসবে। গবেষণা বলছে যারা এখনো পড়াশোনা করছেন তারা যদি এই অভ্যাসকে নিয়মিত বাঁধতে পারেন তাহলে পড়াশোনাও গুছিয়ে ও মনোযোগ দিয়ে করা যায়।ভোরে কোলাহল কম থাকে। চারপাশের পরিবেশ শান্ত থাকে। তাই মন বিক্ষিপ্ত হবে না। মনঃসংযোগ করতে সুবিধা হয়।পড়তে বসলে একাগ্রতা আসবে। ভোরে মন পরিষ্কার থাকে এই সময় কঠিন ও জটিল বিষয় নিয়ে চর্চা করলে তার সমাধানও বেরিয়ে আসতে পারে।ভোরের বিশুদ্ধ বাতাস মন ও মেজাজকে তরতাজা রাখে। ভোরে উঠে হাঁটাহাঁটি, জগিং করলে বা প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটালে কিংবা শরীরচর্চা করলে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর হবে। উদ্বেগ কমে।
ভোরে উঠলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, ভোরবেলায় মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। সৃজনশীল চিন্তাভাবনাও আসে। তাই এই সময়টাই যদি পড়াশোনার কাজে লাগানো যায়, তাহলে মেধা বাড়বে, বুদ্ধিরও বিকাশ হবে।
ভোরবেলা উঠলে অনেকটা সময় হাতে পাওয়া যায়। পড়াশোনা, শরীরচর্চা, মেডিটেশনের পাশাপাশি নিজের কিছু শখ থাকলে, তাও পূরণ করার সময় থাকে। সামগ্রিক ভাবে নিজেকে সব দিক দিয়ে তৈরি করার ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকে। ফলে আত্মবিশ্বাসও বাড়ে।
সারা দিনের কাজ গুছিয়ে নেওয়া যায়। পরিকল্পনা মতো সময় ভাগ করে নিয়ে এগোতে চাইলে, ভোরে উঠাই ভালো। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে দিনে সময় নষ্ট কম হয়।
ভোরে উঠলে পড়াশোনা, পরীক্ষা, স্কুল বা কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যদি উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা কম থাকে। এই সময় মাথা ভাল কাজ করে। এই সময়ে মস্তিষ্কে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধে হয়।
সূত্র : টিভি৯ বাংলা