হাসলে শুধু মনই ভালো থাকে না, বরং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা দিনে গড়ে ৪০০ বার হাসে। সুখী প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন ৪০-৫০ বার হাসেন ও সাধারণ প্রাপ্তবয়ষ্করা হাসেন ২০ বার। বিজ্ঞানীরা গণনা করে দেখেছেন, বিশ্বে মোট ১৯ ধরনের হাসি আছে।
কেন হাসবেন?
হাসলে মেজাজ ভালো থাকে। এক্ষেত্রে করটিসল হরমোন নিঃসরণ কমে ও এন্ডোরফিন হরমোন বাড়ে। এর ফলে শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান হয়। যেমন->> উচ্চ রক্তচাপ কমে
>> সহনশীলতা বাড়ে
>> ব্যথা কমে
>> চাপ কমে ও
>> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যাদের মুখে সব সময় হাসি থাকে তারা অনেক বিনয়ী হন। অন্যান্যরাও তাদেরকে বেশি পছন্দ করেন ও যোগ্য বলে মনে করেন।
এছাড়া হাসিখুশিরা কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি সৃষ্টিশীল প্রকৃতির হন ও অন্যান্যদের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেন। এজন্য নিয়মিত হাসতে হবে। প্রতিদিনের হাসির গড় বাড়াতে চাইলে দিন শুরু করুন হাসতে হাসতে।
হাসি অনেকটা সংক্রামক। অন্যকে হাসতে দেখলে আপনারও হাসতে হচ্ছে করবে। হাসলে মস্তিষ্কের নিউরনগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। খেয়াল করে দেখবেন, হাসি শুধু আপনাকে নয় চারপাশের মানুষকেও আনন্দময় পরিবেশ উপহার দিতে সাহায্য করে।হাসলে মুখের পেশিগুলো আরও নমনীয় হয়। এজন্য বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে হাসুন প্রাণখুলে। পরিবার ও বন্ধুদের ছাড়াও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত হাস্যরসাত্মক বিষয়ে কথা বলুন।
সূত্র: হেনরিফোর্ড/ন্যাশনাল টুডে