ওয়ার্ডসওয়ার্থ-এর একটি কথা আছে, প্রকৃতি কখনো হৃদয় আর ভালোবাসার সঙ্গে ধোঁকা দিতে পারে না।-প্রকৃতির রয়েছে অপার সৌন্দর্য। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মায়া। প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে মন ভালো হয়ে হয়ে যায়। মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাহলে কেন যাবেন না প্রকৃতির কাছে?
২০১৯ সালে ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত ‘ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান’য়ের করা গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট প্রকৃতির মাঝে হাঁটা বা বসার অভ্যাস গড়ে তুললে মানসিক চাপ বৃদ্ধিকারী হরমোন কমে যায়। এবং প্রকৃতির সাথে সংযোগ বাড়ালে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
ভারতের ‘এসআরভি’ হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সানিল সিনহাসন বলেন, প্রকৃতির কাছে বসলে মানসিক চাপ কমে। সবুজ জায়গা এবং প্রকৃতি মানুষের স্নায়ুতে প্রশান্তি জাগিয়ে তোলো। মানসিক চাপ বাড়ানোর হরমোনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। এতে মানুষ আরাম অনুভব করে।
প্রকৃতিকে মনোযোগ দিয়ে দেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এজন্য প্রাকৃতিক শব্দ, দৃশ্য ও অনুভূতির দিকে সজাগ দৃষ্টি দিন। কান পেতে শুনুন প্রকৃতির শব্দ, হৃদয় দিয়ে অনুভব করুন প্রকৃতির মায়া। প্রকৃতির কাছে না গেলে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপের জন্য দায়ী হরমোন নিঃসরণ বাড়ে। এবং মন ও শরীর সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিখ্যাত মার্কিন সাইকোথেরাপিস্ট এমিলি এইচ স্যান্ডার্স-এর পরামর্শ, প্রকৃতির কাছে যান।- প্রকৃতি হতাশা দূর করতে পারে। নিজের প্রতি মনোযোগ ও ভালোবাসা বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রতিদিন অল্প অল্প সময় প্রকৃতির কাছে থাকুন। গভীর মনোযোগ দিয়ে প্রকৃতি দেখুন। আর মনকে রাখুন উৎফুল্ল।
প্রকৃতির সৌন্দর্য আপনার চোখ ও হৃদয়ে প্রশান্তি ছড়িয়ে দিক।