পূজা তো চলেই এলো। কে না চায় এমন উৎসবে নিজেকে সেরা দেখাতে! কিন্তু সেজন্য আগে থেকেই নিতে হবে নিজের ত্বক, চুল আর শরীরের যত্ন। তবেই আপনাকে দেখাবে সব দিক থেকে সুন্দর। ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর থাকলেই মেকআপ হবে নজরকাড়া। যেহেতু পূজায় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করা হয়, তাই চুলেরও আগে থেকেই নিতে হবে যত্ন। তা নাহলে চুল হয়ে থাকবে রুক্ষ। আর ফিট থাকতে শরীরের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ত্বক, চুল আর শরীর ফিট থাকলেই সব ঠিক।
১. ত্বকের যত্ন
যেহেতু পূজায় সাজ বা মেকআপের একটি ব্যাপার থাকে, তাই কিছুদিন আগে ত্বককে একটু বিরতি দিন। এসময়ে ভারী মেকআপ এড়িয়ে চলাই ভালো। যদি মেকআপ করতেই হয়, তবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। সহজ স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলুন অর্থাৎ ডাবল ক্লিনজিং, এক্সফোলিয়েটিং ও ময়েশ্চারাইজিং। দিনে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখুন। শুধু ত্বকের যত্ন নিলেই হবে না। খাবারদাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। অতিরিক্ত রাত না জেগে সঠিক সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম ঠিক না হলে যা কিছুই করুন, ত্বক হয়ে থাকবে প্রাণহীন।
২. চুলের যত্ন
শুধু ত্বক নয়, যত্ন নিতে হবে চুলেরও। কারণ আপনার সৌন্দর্যের অনেকখানি অংশ জুড়েই রয়েছে আপনার চুল। প্রাকৃতিক বেশ কিছু উপাদান রয়েছে সেগুলো এই সময়ে নিজের চুলের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার চুল রাফ হয়ে থাকে, তবে চুলে অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি চুল তৈলাক্ত হয়ে থাকে তবে নিয়মিত শ্যাম্পু করলেই হবে৷ তবে যাঁদের চুল কোঁকড়া তাঁরা অবশ্যই শ্যাম্পুর সঙ্গে কন্ডিশনিং করতে ভুলবেন না৷ চুল পড়ার সমস্যা থাকলে খাবারের তালিকায় ওমেগা ৩, প্রোটিন, বায়োটিন ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
৩. সহজ উপায়ে ফিট থাকুন
পূজার আগে সবচেয়ে বেশি যে ব্যাপারটির দিকে খেয়াল রাখতে হবে তা হলো নিজেকে ফিট রাখা। এমনিতেই যেহেতু এসময় খাবারদাবারের একটি বিশাল আয়োজন থাকে, তাই নিজেকে সামলানো একটু কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ পদগুলো মন ভরে খেতে হলেও আগে থেকে নিজেকে একটু ফিট রাখতে হবে। সুতরাং, এখন অতিরিক্ত মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন। বাইরের খাবার একেবারেই বাদ দিতে পারেন। বাসার তৈরি খাবার খাওয়াই ভালো। এই সহজ বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারলেই কিন্তু ফিট থাকা সহজ। সেই সঙ্গে ছোটখাটো ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। যদি তাও একেবারেই সম্ভব না হয়, তবে প্রতিদিন সকালে হাঁটতে কিংবা সাইক্লিং করতে বেরিয়ে যেতে পারেন।