শুষ্ক ত্বকের পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। পুষ্টির অভাবেও কিন্তু ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে রুক্ষ দেখাতে পারে। এর মধ্যে ভিটামিন এ, সি, ডি, ই এবং জিঙ্ক ও সেলেনিয়ামের মতো খনিজের অভাবেও কিন্তু ত্বক হতে পারে ড্রাই। তাই ত্বকের বেহাল দশা দেখলে এ সব পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বেশি করে।তাহলে কোন কোন খাবার ডায়েটে রাখতেই হবে, জেনে নিন ঝটপট।
মিষ্টি আলু
ভিটামিন এ-র বড় উৎস হচ্ছে মিষ্টি আলু। এছাড়াও এই সবজিতে ভিটামিন সি, বি৬-র উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এতে রয়েছে ফ্যাট, ফাইবার ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ। এ সব পুষ্টির গুণে ত্বকের স্বাস্থ্য ফেরে।ভিটামিন এ ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকে আটকায়। তাই রোজ অন্তত একটি করে মিষ্টি আলু খান। শীতেও ত্বক থাকবে মখমলের মতো।
দুধ
অ্যাকনের সমস্যা থাকলে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যায় না। তাতে ব্রণ-র সমস্যা বাড়ে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সোয়া, আমন্ড বা ওট মিল্ক খেতে কোনো আপত্তি নেই। এই দুধেও ভরে ভরে রয়েছে ভিটামিন ডি। ত্বকের হাইড্রেশন এবং ময়েশ্চারাইজেশনে এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খাবারের সঙ্গে রাখতে পারেন সোয়া, আমন্ড বা ওট মিল্ক।
অ্যাভোকাডো টোস্ট
সকালের নাস্তা ভালো হলে দিনও ভালো কাটে। সেক্ষেত্রে অ্যাভোক্যাডো টোস্ট দিয়েই পেট ভরাতে পারেন। অ্যাভোক্যাডোতে আছে ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি থাকলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়। এর থেকে ডার্মাটাইটিসও হতে পারে।
২০১৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টানা ৬০ দিন ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট খেলে ত্বকে চুলকানি ও শুষ্ক ভাব ছুটি নেয় একেবারে। তাই শরীরে ওমেগা-৩ -এর ঘাটতি মেটাতে অ্যাভোক্যাডো রাখুন খাবারে। তাতেই ত্বক থাকবে হাইড্রেটেড। ত্বকের হাইড্রেশন ঠিক থাকলে উজ্জ্বলতা নিয়েও চিন্তা করতে হবে না।
ফ্যাটি ফিশ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্য়াসিডসহ নানা পুষ্টিতে ঠাসা স্যামন, টুনার মতো মাছ। এই মাছ দিয়ে দুপুরের খিদে মেটালে আপনার ত্বকও উপকৃত হবে। দূর হবে ত্বকের শুষ্ক ভাবও। ত্বক থাকবে সব সময় হাইড্রেটেড। ফলে শীতকালেও ত্বকের উজ্জ্বলতা থাকবে অটুট। এ সবের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল-মূল এবং গ্রিন টি খেলেও ত্বক থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
সূত্র : এই সময়