জীবনে এড়িয়ে চলবেন ৭ ধরনের মানুষকে

জীবনের নানা পর্যায়ে আমাদের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়, তাদের নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। কারণ মানুষ একা চলতে পারে না। কিন্তু কিছু মানুষ স্বভাবগতভাবেই হয় টক্সিক। এ ধরনের মানুষকে জীবনে রাখলে তারা নষ্ট করে দিতে পারে আপনার মানসিক শান্তি ও স্বস্তি— এমনকি জীবনও বরবাদ করে দিতে পারে। তাই এদের জীবনে না রাখাটাই হবে আপনার বুদ্ধিমানের কাজ।

জেনে নিন মানসিক শান্তি বজায় রাখতে চাইলে কোন ধরনের মানুষ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন।

এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা আপনার দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নেন। এটি করার জন্য আপনার ইমোশনালকেও ব্যবহার করে থাকেন। তারা সবসময় নিজেদেরই প্রাধান্য দেন কিন্তু অন্যের দুর্বলতাকে পুঁজি করে। এদের অবশ্যই জীবন থেকে মুছে ফেলুন। তা না হলে কোনো একসময় আপনার জীবন হয়ে উঠবে দুর্বিসহ।

আবার কেউ কেউ আছেন, যারা সবসময় সমালোচনা করতে থাকেন। ভালো কাজের প্রশংসার বদলে তারা সবসময় খুঁত ধরতেই ব্যস্ত থাকেন। তাদের এই নেতিবাচক মনোভাবের কারণে সব উদ্দীপনা আপনার নষ্ট হয়ে যায় অন্যের কারণে। এ ধরনের মানুষকে জীবনে স্থান দেবেন না।

আপনি কখনো আত্মপ্রেমী মানুষকে নিজের আশপাশে রাখবেন না। কারণ আত্মপ্রেমী মানুষ নিজের স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দেন। তারা নিজেদের সাফল্যের জন্য অন্যদের বিপদে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করেন না।

আবার এমনও আছেন কেউ কেউ, যারা সবসময় প্রতারিত ব্যক্তি সাজে বা ভিকটিম রোল প্লে করে। এ ধরনের মানুষ আপনার জন্য ক্ষতিকর। তারা সবসময় অন্যের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু নিজে অন্যদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করেন না।

আর যারা গ্যাস লাইটিং করেন, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়। এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ম্যানিপুলেশন বলা হয় গ্যাস লাইটিংকে। অন্য পক্ষের নিয়ন্ত্রণের কারণে নিজের বাস্তব ভাবনার ওপর নিজেরাই সন্দেহ তৈরি হয় এতে। অন্য ব্যক্তির ওপর ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়।

আপনি যদি বুঝতে পারেন, কেউ আপনার কপট বন্ধু সাজার অভিনয় করছেন, তবে দ্রুত তাকে বিদায় জানিয়ে দিন। কারণ তারা আপনার কাছে ভালো সাজলেও আদতে আপনার ভালো চায় না।

অন্যদিকে যারা নেতিবাচক মানসিকতার, তাদের নিজের আশপাশে রাখবেন না। তারা আপনার মানসিক শান্তি নষ্টের বড় কারণ হতে পারে। আবার কেউ কেউ আছেন, সবসময় অন্যের সমালোচনায় মত্ত থাকে। আপনার কাছে এসেও অন্যের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বা সমালোচনা করেন। তাদেরকে সচেতনভাবে এড়িয়ে চলুন। কারণ তারা অবশ্যই অন্যের কাছে গিয়েও আপনার সমালোচনা করে থাকেন।