কীভাবে যৌবনকে তরতাজা রাখেন জাপানিরা?

বিশ্বের সুন্দর মানুষদের তালিকা করলে প্রথম দিকেই রাখতে হবে জাপানিদের। চোখ দুটি ছোট বাদে তাদের সৌন্দর্যের কোনো খামতি নেই। শুধু সৌন্দর্য নয়, বৃদ্ধ বয়সেও যৌবন ধরে রাখার ক্ষেত্রেও জাপানিদের জুড়ি নেই। কিন্তু কীভাবে সম্ভব হয়? তা জানলে অবাক হয়ে যাবেন।

আসলে জাপানিদের সৌন্দর্য আর যৌবন ধরে রাখার পেছনে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে ওয়াটার থেরাপির। বিশেষ কায়দায় এবং নিয়ম মেনে পানি পান। জাপানে পানিকে সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু কীভাবে জলের ব্যবহার হয়? জেনে নিন, সেই নিয়মগুলো।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই খেতে হবে পানি। একদম খালি পেটে। তবে ঠান্ডা বা গরম পানি নয়, পুরোপুরি ঘরের তাপমাত্রার পানি। এতে পরিপাকতন্ত্রের বিরাট উপকার হবে।

মনে রাখবেন, এই ওয়াটার থেরাপির প্রধান কথাই হলো, এখানে ঠান্ডা পানি একেবারেই পান করা যাবে না। পান করতে হবে ঘরের তাপমাত্রার পানি। তাছাড়া গরম পানিও পান করা যেতে পারে। কিন্তু ঠান্ডা পানি কোনো ভাবেই নয়।

জাপানি বিজ্ঞানীরা বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিন থেকে চার গ্লাস পানি খেতে হবে। একেবারে খালি পেটে। তাতেই নাকি শরীরে মেদ জমার আশঙ্কা অনেক খানি কমে যায়।

ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার আগেই যদি পানি পান করা যায়, তাহলে তা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। মনে রাখবেন, এতে পেটের উপকার হয় সবচেয়ে বেশি। এমনই মনে করেন সে দেশের চিকিৎসকরা।

জাপানিরা দাঁড়িয়ে পানি পান করাও পছন্দ করেন না। ওয়াটার থেরাপি বলছে, পানি পান করার সময়ে বসে পান করা উচিত। তাতে কিডনির ক্ষতি হয় কম।

একবারে অনেকটা পানি একসঙ্গে খেতে বারণ করা হয় এই থেরাপিতে। সেখানে বলা হয়েছে, এক-দুই চুমুক পানি একবারে পান করুন। তার পর ২-৩ মিনিটের ব্যবধান দিন। আবার পানি খান।

সকালে নাস্তা খাওয়া, দুপুরের খাবার খাওয়া আর রাতের মিলের পরে পরই পানি খাওয়ার নিয়ম নেই এই থেরাপিতে। অন্তত আধ ঘণ্টার ব্যবধান রেখে তবেই পান করতে হবে পানি।

জাপানিরা মনে করেন, এই ওয়াটার থেরাপি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তার সঙ্গে এটি ত্বক এবং চুলের গুণমান বজায় রাখে। ফলে বয়সের ছাপও কম পড়ে। বৃদ্ধ বয়সেও যৌবন থাকে তরতাজা। সে কারণেই এই থেরাপিতে এত আস্থা মানুষের।