প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে রাজধানীতে আন্দোলনরত সাধারণ জনতার ওপর প্রশাসনের হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রসারের মূলহোতা দাবি করে বিক্ষোভ করেন।
সোমবার দুপুরে নগরীর আলুপট্টি মোড়ে আলেম ওলামা ও তৌহিদি জনতার উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট হয়ে বোয়ালিয়া থানার মোড়ে অবস্থিত প্রথম আলো অফিসের সামনে যান। এ সময় প্রথম আলোর পত্রিকা এবং একটি বিলবোর্ড ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী তৌহিদি জনতার পক্ষে হাফেজ মাওলানা আবু তালহা, হাফেজ মাওলানা শিহাব উদ্দিন, ফিরোজ কবির, জাকারিয়া, আশিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মাসুম বিল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রুয়েটের সমন্বয়ক আসিফ আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং রাজধানীতে ‘জেয়াফত’ অনুষ্ঠানে পুলিশের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদ করেন।
বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম সহায়ক ছিল। শাপলা চত্বরের আগ্রাসনে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার ছিল প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার। দিল্লি হতে যেসব ফরমায়েসি এজেন্ডা আসে সেসব এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার অন্যতম ভূমিকা পালন করে। নামাজরত মুসলমানদের জঙ্গি তকমা লাগিয়ে দেওয়া প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের অন্যতম কাজ। এছাড়াও তারা ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর প্রচার ও প্রকাশনা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, প্রথম আলো অফিসের সামনে থাকা একটি সাইনবোর্ড আন্দোলনকারীরা খুলে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।