সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী সার্কিট হাউসে সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচনে দুর্বল কিংবা সবল প্রার্থী বলে কিছু নেই। নির্বাচনে সব প্রার্থীই সবল।’
বিকেল ৩টায় সার্কিট হাউসে বৈঠক শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইসি রাশেদা সুলতানা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ।সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিটি নির্বাচন কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দে ও নিরপেক্ষ করতে পারি, সে বিষয়ে প্রাক প্রস্তুতি সভা হয়েছে। এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে আমাদের কী করণীয় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ কিছু চ্যালেঞ্জ পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি একটা সুন্দর নির্বাচন হবে, প্রার্থীরা আচরণবিধি যেন ঠিকভাবে প্রতিপালন করেন। আমি কিন্তু নির্বাচনি এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছি। যত পোস্টার আগেই সাঁটানো হয়েছিল, অলরেডি অপসারণ হয়েছে। আমরা যদি আচরণবিধিটা প্রতিপালন করাতে পারি, তাহলে একটা সুন্দর ইলেকশন হবে। কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আমরা সেটার ব্যবস্থা নেব। ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। এতে বাইরের চিত্র দেখা যাবে, কেন্দ্রের ভেতরও দেখা যাবে। বিশৃঙ্খলা হতে দেওয়া হবে না।’
নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের কোনো বাধা নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাজ করতে কোনো বাধা নাই। কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে না। তবে তাকে অবহিত করতে হবে। ভোটকক্ষের মধ্যে যদি একসঙ্গে ১০ জন সাংবাদিক ঢুকে যান, তাহলে ভোটের পরিবেশ নষ্ট হবে। সাংবাদিকরা ভোটকক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই। আমরাও চাই সাংবাদিকরা ভোটের চিত্রটা জনগণের মাঝে তুলে ধরুক।’