নগরীতে তিন ঘণ্টা কারফিউ শিথিল আজ

রাজশাহীতে তেমন কোনো সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলেও কারফিউয়ের কারণে স্থবির হয়ে পড়ে সবকিছু। সহিংসতা রুখতে সরকারের কারফিউ ও সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পর নগরীজুড়ে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিলো ব্যাপক। এখনো পুলিশের তৎপরতা রয়েছে। তবে বেড়েছে কারফিউ শিথিলের সময়। বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত শিথিল সময়ে স্বাভাবিকভাবেই চলছে সবকিছু।

বৃহস্পতিবার কারফিউ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। বেচাকেনাও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রাস্তাতেও মানুষের চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলো। নগরীর সাহেববাজার, কোর্ট বাজার, ভদ্রা এলাকায় প্রচুর মানুষের সমাগম ছিলো। অফিস-আদালত ও ব্যাংকেও মানুষের উপস্থিতি ছিলো প্রচুর।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) মুখপাত্র মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের রাজশাহীর পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক আছে। আবারও স্বাভাবিকতা ফিরতে আনতে পুলিশ সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। কোন ধরনের সহিংসতা ঘটনা যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যেও পুলিশ সচেষ্ট আছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায়  রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিজয় বিপ্লব তালুক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে জনসাধারণের একক বা সঙ্গবদ্ধভাবে সকল প্রকার চলাচলের উপর সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।

এতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগ, রাজনৈতিক শাখা-২ এর অনুসরণে রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা, জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে জারীকৃত সান্ধ্য আইন (কারফিউ) শুক্রবার দুপুর ১২ থেকে তিনটা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে।

তিনটার পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সান্ধ্য আইন (কারফিউ) অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।