রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড কার্যকর স্থগিত চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নটপ্রেস রিজেক্ট) করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ফলে এ দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে আইনগত কোনো বাধা থাকলো না।
এ বিষয়ে শুনানিতে রোববার (১৪ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মরহুম অধ্যাপক ড. এস তাহেরের কন্যা ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাস্সুম আহমেদ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম। অন্যদিকে অধ্যাপক ড. তাহেরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম. সাঈদ আহমেদ রাজা। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, অ্যাডভোকেট সাকিলা রওশন ও অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাস্সুম আহমেদ।
এর আগে দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাবির সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের স্ত্রী ইশরাত রহমান এবং আরেক আসামি ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই মিজানুর রহমান এ রিট আবেদন করেন।
গত ৭ মে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামিদের আটক, গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণে সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ব্যত্যয় হয়েছে। তাই এক আসামির ভাই ও আরেক আসামির স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেছেন। রিটে দুই আসামীর ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে রায় আছে, সংবিধানে যা আছে এবং সিআরপিসিতে যা আছে, এসব ফলো না করে তাদের কাছ থেকে যে স্বীকারোক্তি নিয়েছে, সেটির ভিত্তিতে যে কনভিক্ট হয়েছে, সে কারণে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে পৃথক দুটি রিট করা হয়েছে।
রিটে দণ্ডিত দুই আসামির রায় ঘোষণা করা কেন সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। রমজান মাসে (এপ্রিলের মাঝামাঝি) রিটটি করা হয়েলেও ৭ মে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে বলে জানান আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম।
এর আগে ২ মে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজনের আবেদন খারিজের রায় প্রকাশ করা হয়।
৩ মে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন জানান, এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রপতির কাছে দণ্ড ক্ষমার আবেদন করতে পারবেন। সেটি খারিজ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। সেটি ২১ বা ২৭ দিন লাগতে পারে।