সাধারণ জনগণই ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক শক্তির প্রধান উৎস বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জনগণের সঙ্গে মিশতে পারি, তাদের মনের কথা উপলব্ধি করতে পারি বলে তারা সবসময় আমাদের পাশে থাকে। আমরা কখনোই জনগণের স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ড করি না, কারণ- তারাই আমাদের সকল শক্তির মূল উৎস।’ শুক্রবার বিকালে শহরের কমেলা হক ডিগ্রি কলেজের হলরুমে মতিহার থানা ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের মতিহার থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলম এতে সভাপতিত্ব করেন। কর্মীসভায় রাজশাহী-২ আসনের টানা তিন বারের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি দলীয়ভাবে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধ। আমাদের নেতাকর্মীরা মানুষের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যেতে পারে। সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে তাদের সুখ-দুঃখের কথা নিঃসন্দেহে বলতে পারে। কারণ, আমরা জনগণের স্বার্থকে উপলব্ধি করেই রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করি। জনগণের সমর্থনে জনপ্রতিনিধি হয়েছি, তাই তাদের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কাজ আমরা কখনোই করি না। দলীয় নেতাকর্মীদের পাড়া-মহল্লায় গিয়ে জনগণকে আরো ঐক্যবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়ে দেশের জাতীয় রাজনীতিক বলেন, ‘এখন থেকেই আমাদের সবধরনের রাজনৈতিক প্রস্তুতি নিতে হবে। ঘরে-ঘরে গিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। রাজশাহীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা যে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম করেছি; সেসব মানুষের সামনে বিনয়ের সঙ্গে তুলে ধরতে হবে। একইসঙ্গে কোনো ধরনের অপশক্তি যেন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে; সেটিও দেখতে হবে। সর্বোপরি, রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টির যে রাজনৈতিক সুনাম আছে, তা অক্ষুন্ন রাখতে যা করণীয় আপনারা তাই করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’ মতিহার থানা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোহাইমিনুল হক রানার পরিচালনায় কর্মীসভায় বক্তব্য দেন, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, নাজমুল করিম অপু, মহানগর সদস্য সীতানাথ বণিক প্রমুখ। এসময় নারী মুক্তি সংসদের জেলার সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর বেগম, শারমিন আক্তার, মতিহার থানা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মোঃ রিপন, দুলাল হোসেন, ফয়সাল আহমেদ রাতুল, মোঃ রঞ্জুসহ মতিহার থানার অন্তর্গত প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।