চাকুরী না করায় প্রতিষ্ঠান মালিকের ষড়যন্ত্র, প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহীতে গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লিমিটেডে কর্মরত ৪ জন কর্মচারী চাকুরী ছেড়ে দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নানা হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১২ টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন।
গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লিমিটেড থেকে চাকুরী ছেড়ে দেওয়া ভুক্তভোগীরা হলেন, মহানগরীর চন্দ্রীমা থানার নিউ কলোনীর মৃত মুন্টু লায়েকের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন সুজন, গোদাগাড়ী থানার রাজাবাড়ি এলাকার খায়রুল ইসলামের ছেলে খালেদ হাসান, মোহনপুর থানার গোছা এলাকার রকিব মন্ডলের ছেলে ইমতিয়াজ আহসান, নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার মহেষপুর গ্রামের আলহাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে মাসুদ রানা।
লিখিত বক্তব্যে শাহরিয়ার হোসেন সুজন বলেন, আমরা ৪ জন অত্র গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লি: এ সম্পূর্ণ অস্থায়ী মুজুরী ভিত্তিতে কাজ করছিলাম। অত্র কোম্পানীর উপরোক্ত ব্যক্তিদের কোন আবেদন ও যোগদান পত্র নাই। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানে নির্বাহীর বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠান পরিপন্থি পরিলক্ষিত হওয়ায় বাহিরের বিভিন্ন কাস্টমার এমনকি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীক মহলে বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার ছড়াতে থাকে। আমরা সমাজে অতি নগন্য ও সহজ সরল জীবন যাপন করা সাধারণ মানুষ। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অপপ্রচারের বিষয়গুলো আমাদের জন্য মানহানীকর। এমতাবস্থায় আমরা আলোচনা করে স্থীর করি যে অত্র প্রতিষ্ঠানে আর কাজ করবো না।
কারণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বেশ কিছুদিন যাবত আমাদের সাথে কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় যোগাযোগ/পরামর্শ না করে তার স্বীয় পরামর্শে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। এর জন্য আমরা কতিপয় কর্মী প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান নিকট বিভিন্নভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হই। সার্বিক দিক বিবেচনায় এবং আমাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে স্থীর হয়ে নিজেদের এই কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেরাই একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানী করবো এবং এর
বাস্তবায়নের জন্যে মনে মনে পরিকল্পনাও করি।
যেহেতু গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হতে যাচ্ছে এবং আমরা নিজেদেরকে অত্র প্রতিষ্ঠানে কোনভাবেই নিরাপদ মনে করতে না পারায় সর্বশেষ উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মচুতি ঘটাই। কর্মচ্যুতির পূর্বেই আমরা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে ৩ মাস আগেই অবহিতও করি। তিনিও মৌন সম্মতি প্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী আমরা চাকুরী ছেড়ে দেই। নিজেদের জীবনের তাগিতে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেরাই “আল-আফসা” কোম্পানী লি: নামে রিয়েল এস্টেট কোম্পানী চালুও করি।
বর্তমানে আমরা অফিস রেলভিশনের কাজ করছি এবং অতিসত্তর একটি ভূমি মালিকের সাথে চুক্তি করতে যাচ্ছি। কিন্তু পুরাতন কোম্পানীর মালিক আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে আমাদের চলমান কাজের ক্ষতি সাধনের জন্য গত ২৬জুন ২০২৪ইং বোয়ালিয়া মডেল থানায় খালিদ হাসান এর নামে একটি এজাহার করে এবং কোন প্রকার তদন্ত ছাড়ায় ২৭ জুন ২০২৪ ইং তাকে ধারা ৪০৮, ৪২০,৪৬৮ মামলা দিয়ে থানায় আটক করে।
বর্তমানে গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লি: এর কর্ণধার বিভিন্ন কলাকৌশলে আমাদের বিব্রত করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন। তাই আমাদের ভবিষ্যত সার্বিক দিক সাফল্য নিয়ে এবং আমাদের নতুন কার্যক্রমে কোন প্রকার বাধা বিপত্তি না হয় তার সার্বিক প্রত্যাশা কামনা করে বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনার অবহিত ও অবগত করলাম বলে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন।
অপর বক্তব্যে তাঁরা আরও বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ কিন্তু থানা পুলিশ কোনো তদন্ত ছাড়াই এমন একটি মিথ্যা মামলা নিলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাঁরা যেনো বিষয়টি তদন্ত করেন। কারণ আমাদের কাছে এটি প্রভাবিত হয়ে মামলা দেওয়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। এমনকি এখানে বড় ধরনের লেনদেনও হয়েছে বলে মনে করছি