সরকারি চাকরিতে কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীরা যুক্ত হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে একথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কোন সদস্য প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত হতে পারবে না। যেসব নিয়োগ এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে সেখান থেকেও তাদেরকে বাদ দেওয়া হবে। পরবর্তী সার্কুলারে শুন্যপদ গুলোতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এরপর তিনি লিখেছেন, ফলে আসন্ন সার্কুলার গুলোতে সংখ্যাগত দিক থেকে অধিক সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগের সুযোগ তৈরী হবে। ঘুষ দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। নিয়োগের জন্য ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেনএকজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন
উল্লেখ্য, দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএসে বসতে পারবেন, এমন ধারা সংযোজিত হবে বলেও উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। “সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮”-এর ধারা ৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শিগগিরই এমন ধারা সংযোজন করবে।
এদিকে, বুধবার রাতে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সরকার।