‘সংস্কার না করে নির্বাচন হলে আগের জায়গাতেই থেকে যাব’

সবকিছু সংস্কার না করে নির্বাচন হলে আগের জায়গাতেই থেকে যাব বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে এমন নয়, নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে হবে। তা না হলে আমরা আগের জায়গাতেই থেকে যাবো।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিগত আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি, অর্ধলাখ মানুষ রক্ত দেয়নি, আর অভ্যুত্থানও হয়নি। বিগত ১৬ বছরে দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। তাই পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলে অভুত্থান ঘটেছিল, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিলেন। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এই দেশের ছাত্র-জনতার সরকার। সাধারণ মানুষের সরকার।

তিনি বলেন, ‘তাই এই সরকার বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সিস্টেমগুলো সংস্কার করার নৈতিক অধিকার রাখে। প্রত্যেকেরই তাদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। একটি যৌক্তিক সময়ে সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন দিতে হবে।’

সারজিস বলেন, সংস্কারের জন্য আগামী ৫-৬ বছর লাগবে, আমরা এমনটি বলছি না। তবে ন্যূনতম যৌক্তিক সময় লাগবে। ১৬ বছরে যে সিস্টেমগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, সেই সিস্টেমগুলো সংস্কার করতে যৌক্তিক সময় প্রয়োজন।

এ সমন্বয়ক বলেন, ১৬ বছরে দেশের নামিদামি রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিস্ট সরকারের টনক নড়াতে পারেনি। তাই অল্প কিছু লোকের কারণে অভ্যুত্থান সফল হয়নি। দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামায় অভ্যুত্থান সফল হয়েছে।