লিটনের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬২ রান

তৃতীয় দিনের শুরুতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের রেকর্ড গড়া জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করেন লিটন। তার সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ১২ রানের লিড পেয়েছে পাকিস্তান।

দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে ১০ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ৯ বলে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।

তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে পেসার খুররাম শেহজাদের বোলিং তোপে মাত্র ১৬ রান যোগ করতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুধু মাত্র সাদমান ছাড়া দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার।

সাদমান ১০, জাকির হাসান ১, নাজমুল হাসান শান্ত ৪, মুমিনুল হক ১, মুশফিকুর রহিম ৩ ও সাকিব আল হাসান ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

এরপর লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দেয় বাংলাদেশ। পাক বোলারদের সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। ৮৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন লিটন।

লিটনের পর ফিফটি পূরণ মিরাজ। ১৬৫ রানের জুটি গড়েন লিটন ও মিরাজ। তবে দলীয় ১৯১ রানে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে মিরাজের। ১২৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তাকে আউট করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন খুররাম।

মিরাজের বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান তাসকিন আহমেদ। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ১৭১ বলে সেঞ্চুরি করেন লিটন। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পরও পেসার হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন।

হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন লিটন। তবে দলীয় ২৬২ রানে রানে আউট হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ২২৮ বলে ১৩৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই আউট হন নাহিদ রানা। শেষ পর্যন্ত ৭৮ ওভার ৪ বলে ২৬২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।