সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রাজশাহীর তিন ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব। এই দুইজনকে দলের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা (পদ উল্লেখ নেই) হাসিবুল ইসলাম হাসিবকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির তিন ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন। অন্যদিকে বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন জানান, যতটুকু শুনেছি কিছুদিন আগে উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন দলবলসহ উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামের একটি ব্যক্তি মালিকানার পুকুর জবরদখল করে মাছ লুট করেন। লুট করা মাছ মোহনগঞ্জ বাজারের আড়তে বিক্রির সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন। পুকুরের মালিক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মাছ লুটের অভিযোগ দায়ের করেন বাগমারা থানায়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এর ফলে তাকে দলের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে মহব্বত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীবকে সাংগঠনিক পদ ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলাম হাসিবকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকার বলেন, এই তিন ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। তাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর অভিযোগ হয়েছিল। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে অব্যাহতি পাওয়া রাবি ছাত্রদলের এই দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাদের নির্ধারিত মোবাইলে কল দেওয়া হলেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।