দেশের নতুন যে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। আজকে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ৩টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতারা অংশ নেন। ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে আহবায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের নতুন যে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। আজকে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ৩টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রথমটি হচ্ছে- সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে গঠন করা যায় এবং ঘোষণা দেব তা নিয়ে আলোচনা করেছি। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে কীভাবে দ্রুততম সময়ে অপসারণ করা যায় এবং কীভাবে রাজনৈতিক সংকট দূর করা যায়- তা নিয়ে কথা বলেছি। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্যকে ধরে রেখে কীভাবে সরকার পরিচালনা করা যায় তা নিয়ে কথা বলেছি।
হাসনাত বলেন, বিএনপির নেতারা আমাদের সব কথা শুনেছেন। তারা জানিয়েছেন আমাদের বার্তা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করবেন, পরে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। একই ইস্যুতে আমরা আজ (শনিবার) ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারাও নৈতিকতার জায়গা থেকে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ চায়
শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগের অবস্থানই প্রকাশ করেছে। দলটি মনে করে, পতিত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করে তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং তিনি এ পদে থাকতে পারেন না।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পালিয়ে যাওয়াতে কী কোনো সংকট হয়েছে? আর বর্তমান রাষ্ট্রপতি তো পলাতক প্রধানমন্ত্রীরই নিয়োগ করা। বরং এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান অস্পষ্ট বলে মনে করেন গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপিকে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এর আগে গত শুক্রবার বৈঠক করেন জামায়াতে ইসলামীর তিন নেতার সঙ্গে। মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের উপস্থিত ছিলেন।