ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি দাবি করে সাদিক কায়েম নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন। এ নিয়ে দেশ জুড়ে তুমুল মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শনিবার বিকেল পৌনে ৪টায় তিনি এ বার্তা পোস্ট করেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর আত্মপ্রকাশ করলো ঢাবি শাখা শিবিরের সভাপতি।
উল্লেখ্য, ঢাবি শাখা শিবিরের সভাপতি দাবি করা সাদিক কায়েম ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এদিকে তিনি এতদিন সকলের কাছেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। জুলাই বিপ্লবে সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ঘোষিত ৯ দফার অন্যতম রচয়িতাও ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতনের ঢাবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে সকল ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলেন। এ পরিস্থিতিতে ঢাবির শিবির সভাপতি সাদিক কাইয়ুম তার ফেসবুক পোস্টে ছাত্র রাজনীতিতে ইতিবাচক সংস্কার আসবে বলে উল্লেখ করেন। ওই পোস্টে তিনি রাজনৈতিক সংস্কারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের শেষে তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ্যে লেখেন। যা দীর্ঘ বছর ধরে তিনি গোপন রেখেছিলেন।
‘‘সাদিক কায়েম, সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’’
তার এ নব্য রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েই পোস্টের কমেন্ট বক্সে নানাজন নানাপ্রকার পজিটিভ নেগেটিভ কমেন্ট করে চলেছেন।
মুনতাসির আব্দুল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, ‘সবাই শিবির চিনতে ভুল করলেওশেখের বেটি শিবির চিনতে ভুল করেনি। শিবির তো শিবির’ই। প্রিয় কাফেলা ইসলামী ছাত্রশিবির।’
মোহাম্মদ সানিপ নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হবেন এটার পক্ষে ছিলাম। শিবিরের সভাপতি হবেন এটার পক্ষে তো ছিলাম না।’
এদিকে দাউদ ইসলাম নামে একজন আক্ষেপ করে লেখেন, ‘এই ছেলেটিকে আমি আগেই সন্দেহ করছিলাম, তোমরা আমার কথা বিশ্বাস করো নাই।’
অন্যদিকে আব্দুর রাজ্জাক নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের ঢাবির সভাপতি!!!!! অবাক হলাম। অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা ভাই।’
এরকম অজস্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পাচ্ছে হঠাৎ প্রকাশ্যে আসা ছাত্র শিবিরের এ সভাপতিকে নিয়ে।
দৈনিক আমাদের সময়ের পাঠকদের জন্য আরও কিছু মন্তব্য উল্লেখ করা হলো-
আমরা আগেই বলতাম ছাত্র শিবির আমাদের দলের সাথে মিশে আছে। কিন্তু এতো দূর এসেছে ভাবতেও পারি নাই। এই জন্যই ২৪ এর আন্দোলন নিয়ে আপা বলতো এগুলো জামায়াত শিবিরের কাজ। (এইচ এম মমিনুর রহমান)
আলহামদুলিল্লাহ, দিনশেষে দেখবেন বেশিরভাগই সমন্বয়ক ছাত্রশিবিরের এবং মাঠে ময়দানে ছাত্রশিবিরের সবচেয়ে বেশি জনশক্তি ছিল এটার বাস্তব প্রমান আমি নিজেই। (শহিদুল ইসলাম)
ঢাবি তার আসল রুপে সজ্জিত হচ্ছে। ঢাবি থেকেই শিবির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঢাবি থেকেই সত্যের এ আলো পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ। এসো ভাই শিবির করি,কোরআন দিয়ে জীবন গড়ি। এসো সত্যের এই আঙ্গিনায়,মুক্তির মোহনায়! (মোহাম্মদ আকিমুল ইসলাম তুহিন)
আমাদের পরিচয় রাজপথ আন্দোলন ও কর্মদক্ষতাই প্রকাশ করে দেয়। আমি কে আমি কে আমি কে!
আমাদের সংগ্রাম চলবে…… আমাদের লড়াই জনতার জন্য। আমরা শিবির এটাই আমাদের আসল পরিচয়। আলহামদুল্লাহ। দোয়া ও ভালোবাসা প্রিয় ভাই। (ওয়ালিউল্লাহ কাউসার)