ফুটবলকে এগিয়ে নিতে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়বেন তাবিথ

প্রায় দেড় যুগ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। তবে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাকে নিয়ে নানামুখী সমালোচনা হয়। শুরুতে তিনি সভাপতির পদ ছাড়তে না চাইলেও পরে ঘোষণা দেন ২০২৪ বাফুফে নির্বাচনে তিনি লড়বেন না।

এরপর থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়, বাফুফের পরবর্তী সভাপতি হবেন কে? কে লড়তে পারেন এই পদে। তখন থেকেই গুঞ্জন চলছিল বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল লড়তে পারেন এই পদে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি তিনি।

তবে আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন ২০১২ ও ২০১৬ মেয়াদে সহ-সভাপতি পদে থাকা তাবিথ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ২০২৪ নির্বাচনে আমি অংশ নিবো কিনা? হ্যাঁ, আমি বিগত তিনটি নির্বাচনে আমি অংশ নিয়েছিলাম। আমি এবার চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে আমি কেবল আগ্রহীই নই, আমি নির্বাচনে লড়বো।’

সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন প্রশ্ন হলো কোন পদের জন্য? বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে আমরা জানি অনেকগুলো পদ রয়েছে। সভাপতি থেকে শুরু করে, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, চারটা ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সদস্য রয়েছে বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী। বর্তমান নীতিমালার আন্ডারে আমি আপনাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে চাচ্ছি, প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে লড়বো। আমরা ইচ্ছা হলো প্রেসিডেন্ট পদে ইলেকশন করা। এবং আমি আশাবাদী প্রেসিডেন্ট পদে লড়লে আমি জিতবো। জিতলে আমি ফুটবলের ধারাবাহিকতা আরও সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারবো।’

অবশ্য নমিনেশন ফরম জমা দেওয়ার পর সেটা চূড়ান্ত হলেই তিনি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন, ‘এখন অনেক প্রশ্ন আসতে পারে। ফুটবল নিয়ে আমার চিন্তা-ভাবনা কি। নিশ্চয়ই আপনারা প্রশ্ন করবেন। তাই আমি আগে থেকেই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাচ্ছি, তার আগে আজ আমি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলাম। নমিনেশন জমা দেওয়া হবে অক্টোবর। এরপর বাছাই প্রক্রিয়া শেষে আমি যদি টিকে যাই তখন আমি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হবো। আর সেই সময়ই আমি ঘোষণা করবো আমরা নির্বাচনী ইশতেহার কি হতে পারে, বা ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি হতে পারে।’

প্যানেল করবেন কিনা সে বিষয়ে তাবিথ বলেন, ‘কারা কারা ডেলিগেট হবে সে প্রক্রিয়া এখন চলছে। ডেলিগেট হওয়ার পরের ধাপ কারা কারা নির্বাচন করতে আগ্রহী। যখন আমরা বুঝবো কারা কারা আগ্রহী, তখন চিন্তা করা যাবে যে প্যানেল হবে নাকি আংশিক প্যানেল হবে, নাকি কোনো প্যানেলই হবে না। সে বিষয়ে আমি এখনই কোনো বক্তব্য রাখতে পারছি না।’

নিজের ক্রীড়া সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল একটা স্পোর্টসের সাথে জড়িত। যদিও আমি অনেক স্পোর্টস খেলি, কিন্তু একমাত্র ফুটবলের সঙ্গেই জড়িত। ফুটবলে আমি সংগঠক হিসেবে জড়িত, স্পন্সর হিসেবে জড়িত, ফ্যান হিসেবে জড়িত। এর বাইরে আমি অন্য কোনো সংগঠনে, অন্য কোনো স্পোর্টসে জড়িত হইও নাই কোনোদিন। আমি যা করেছিলাম ফুটবলে করেছিলাম। এবং আমি বিশ্বাস করি আমার অ্যাকশনই আমার পরিচিতি দিয়ে দিবে। আমার এখানে বলার দরকার নেই কোন জায়গায় আমি অবদান রাখতে পেরেছিলাম এবং কোন জায়গায় পারিনি।’ তাবিথ আউয়ালের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে তরফদার রুহুল আমিন লড়বেন। আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।