ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন তিনি। রবিবার (১৩ অক্টোবর) এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ওই পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘কোনো অজুহাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ সদস্যদের ছাড় দেওয়া হবে না। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সুষ্পষ্ট ঘোষণা আসবে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘১৬ বছরে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সৎ, দক্ষদের পদোন্নতি ও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পুলিশ সংস্কার করা হবে।’ জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশের এক কনস্টেবলকে হত্যার অভিযোগে এক কিশোর ও দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছিদ্দিকের ছেলে নাইম হোসেন (২১), জয়াগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওরকোট গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে ইমাম হোসেন (২২) ও সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকার এক কিশোর (১৬)। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করার পর তাঁরা নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা রুমির কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিকে, পুলিশ হত্যার অভিযোগে তিন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছে। আন্দোলনকারী তিনজনকে গ্রেপ্তার করায়ি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের মুক্তি দাবি করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। সূত্র: কালের কণ্ঠ