আওয়ামী লীগ ওয়াদা ভঙ্গকারী দল

আওয়ামী লীগকে ওয়াদা ভঙ্গকারী দল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করতে হবে, বাইরে থেকে কেউ এসে দাবি পূরণ করে দেবে না। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতিকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে। হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। অবশ্যই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। নাহলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না। রবিবার (২১মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফখরুল। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাগপা। মির্জা ফখরুল বলেন, শফিউল আলম প্রধান একটি সাম্য ও মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন এবং লড়াইও করেছেন। কিন্তু আজও সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ এই সরকার দিচ্ছে না। কারণ তারা তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা ক্রান্তিকালে এসে দাঁড়িয়েছি। এখন সিদ্ধান্ত হবে বাংলাদেশ কি এখন গণতান্ত্রিক হবে, নাকি পরনির্ভরশীল ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র হবে? একদিকে একটি শাসকগোষ্ঠী ও অন্যদিকে জনগণ। দেশের মানুষের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে সরকার। তারা অন্যায়ভাবে র‌্যাব ও দলীয় গুণ্ডা দিয়ে দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে চায়। অথচ ১৯৯৬ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল, তখন আজকের আওয়ামী লীগ অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেসব তো পূরণ করেইনি বরং সেখান থেকে দূরে সরে গেছে। তারা দুটি ভুয়া নির্বাচন করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো ভোটার ভোট দিতে যায়নি। কুত্তা ছিল ভোটকেন্দ্রে। ২০১৮ সালেও নিশিরাতে ভোট করেছে। আজ এই সরকার নির্বাচন ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে, সেখানেও তারা কী করছে? এমতাবস্থায় আমাদের সিলেটের সাবেক নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ভোট না করার ঘোষণা দিয়েছেন।’ জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদত হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার আবিদুর রহমান, আ স ম মেজবাহউদ্দিন, অধ্যক্ষ হুমায়ূন কবির, যুগ্ম সম্পাদক ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, সাইফুল আলম, এনপিপির অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, নবীউল্লাহ নবী চৌধুরী, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।