আজ রোববার থেকে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৩টি স্থানে উৎপাদক থেকে ডিলারের মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে দৈনিক ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করা হবে। সুলভ মূল্যে বিক্রি হবে এসব ডিমি। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং দুই সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুই সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চলবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তেজগাঁও বাজার, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান কৃষি মার্কেট (মোহাম্মদপুর) ও উত্তরা-১০ (খামারপাড়া রোড) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাপ্তান বাজার, নিউ মার্কেট, খিলগাঁও, জুরাইন, কোনাপাড়া সারুলিয়া, শনিরআখড়া ও চিটাগাংরোডসহ মোট ১৩টি স্থানে সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রি হবে। এরমধ্যে তেজগাঁও বাজার ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন সাড়ে ছয় লাখ করে মোট ১৩ লাখ এবং অবশিষ্ট ১১টি বাজারে মোট ৭ লাখ ডিম সমানুপাতিক হারে বন্টন করে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হবে বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে। ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম ও কর্পোরেট), এজেন্ট-ডিলার, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে এর আগে, ৬ নভেম্বর (বুধবার) ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরীক্ষামূলকভাবে ডিম সরবরাহ করার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি চাহিদা কম থাকাকালীন সময়ে ডিম সংরক্ষণের বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ডিম সংরক্ষণ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কাজ সম্পর্কে আলোচনা হয় বলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান সাংবাদিকদের জানান। এক প্রশ্নের জবাবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমান সংকট কাটাতে সরকার আমাদের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছেন ঠিকই, কিন্ত প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে, ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকেই দেশের চাহিদা সম্পূর্ণভাবে মেটানো, যেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব বলে আমরা মনে করি।’