যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাত, নিহত ৩১

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চল শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। টর্নেডোর আঘাতে দেশটির ৬ অঞ্চলে কমপক্ষ্যে ৩১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে। টর্নেডোর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকের বাড়িঘরের ছাদ পর্যন্ত উঠে গেছে।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ টর্নেডোর তাণ্ডবে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর সিবিএস নিউজের।

তীব্র বাতাস পূর্ব দিকে মিসিসিপি ভ্যালি এবং দক্ষিণাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হতে থাকে, যার ফলে ছয়টি রাজ্যে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত, আরও অনেকে আহত হয়েছেন। বড় বড় গাছ উপড়ে রাস্তার ওপর পড়ে আছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে।টাইলারটাউন পুলিশ প্রধান জর্ডান হিল জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় মিসিসিপির টাইলারটাউনে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, একাধিক টর্নেডো রাজ্য জুড়ে বয়ে গেছে। মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন যে রাতভর ছয়টি কাউন্টিতে টর্নেডোর খবর পাওয়া গেছে।

শক্তিশালী এ টর্নেডো ১০ কোটিরও বেশি মানুষের আবাসস্থলে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কানাডার সীমান্ত থেকে টেক্সাস পর্যন্ত ৮০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে বাতাস বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে- পূর্ব লুসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা, ফ্লোরিডা এবং জর্জিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে।

মিসৌরির গভর্নর শনিবার আরও পরের দিকে টর্নেডো আবারও আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা পরিষেবা একাধিক অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানিয়েছে।

এসব এলাকায় এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। সংস্থাটি প্যানহ্যান্ডেল এলাকায় দাবানলর বিষয়ে ‘‘লাল’’ সতর্কতা জারি করেছে; যা চরম আগুনের ঝুঁকির বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন (এনওএএ) মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডো প্রাদুর্ভাবের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে।

দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সেবা সংস্থার আবহাওয়াবিদ ডেভিড রথ বলেছেন, শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৬টি টর্নেডোর আঘাতের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় আরকানসাস, ইলিনয়, মিসিসিপি এবং মিসৌরির কিছু অংশজুড়ে শক্তিশালী বজ্রপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছেন তিনি।