অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের পরিবার। আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার জন্য গিয়েছিলেন আবু সাঈদের বাবা ও তার দুই ভাই। আবু সাঈদের ভাইয়েরা জানান, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মুহাম্মদ ইউনুস যখন আবু সাঈদ ও অন্যান্যদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেছিলেন, তখন তারা কাঁদছিলেন। আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে আপনি আবু সাঈদের বিপ্লবী ভূমিকা তুলে ধরেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর আমাদের গ্রামে এসে আমাদের সম্মানিত করেছেন।’ তারা জানান, নিহত আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলবেন। সেই ফাউন্ডেশন গরিবদের জন্য এবং জুলাই-আগস্টে আহত-নিহতদের সহায়তায় কাজ করবে। সেইসঙ্গে তারা তাদের গ্রামে একটি মসজিদ ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করতে চান। এ জন্য তারা ইতোমধ্যে দুটি মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চেয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনো শহিদ আবু সাঈদকে ভুলবে না। তার আত্মত্যাগ গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’ প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরের দিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে তার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং আবু সাঈদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন।