প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আজ শনিবার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আসছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি ও ঝড়টি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’ ঘূর্ণিঝড়ের সময় পানি জমে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুতরাং সেই সময়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ (গ্যাস ও বিদ্যুত বন্ধ) সাময়িক দুর্ভোগ সৃষ্টি করলেও মানুষের জীবন রক্ষা পাবে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা এই ধরনের ব্যবস্থা নিব ও নিচ্ছি।’ পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান জানান, আজ এক বিশেষ আবহাওয়া ব্রিফিংয়ে সর্বশেষ সমুদ্র উপকূল বন্দর সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ১৪ মে রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-মিয়ানমার উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে। কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় আজ সন্ধ্যার মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে।