বাড়ির সামনে অনেক মানুষের ভিড়। আল্লু অর্জুন বাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। বাইরে ছুটে আসেন তার স্ত্রী স্নেহা রেড্ডি। এরপর স্বামীকে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এসময় তার চোখ ছিলে জলে ভেজা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
গত ১৩ ডিসেম্বর সকালে গ্রেপ্তার করা হয় তেলেগু সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে। নানা জটিলতার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান এই ‘পুষ্পা’ তারকা। কিন্তু কারামুক্ত হতে পারেননি। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জেল থেকে ছাড়া পান আল্লু অর্জুন। বাড়ি ফেরার পরই স্বামীকে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন স্নেহা।
অন্যদের মতো এ ভিডিও দৃষ্টি এড়ায়নি দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর। স্ত্রীর সঙ্গে আবেগপ্রবণ মুহূর্তের স্ক্রিন শট নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী। আর সেই ছবিতে তিনি লেখেন— “আমি কাঁদছি না, ওকে।”
গত ১৩ ডিসেম্বর সকালে জুবলি হিলসের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আল্লু অর্জুনকে। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় চিকড়পল্লী থানায়। এরপর নামপল্লী আদালতে তোলা হলে আল্লু অর্জুনকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর আল্লু অর্জুনের আইনজীবী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
হাই কোর্ট জানান, অভিনেতা হলেও একজন নাগরিক হিসেবে আল্লু অর্জুনের অধিকার ও স্বাধীনতা রয়েছে।
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা সিনেমা হলে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে আল্লু অর্জুন উপস্থিত থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উপচে পড়েন তার ভক্তরা। শত শত দর্শক ভিড় করলে ভেঙে পড়ে সিনেমা হলের প্রধান ফটক।
এতে অনেক মানুষ পদদলিত হন; জ্ঞান হারান ৩৯ বছরের রেবতি ও তার কিশোর পুত্র। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে রেবতিকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটি চিকিৎসাধীন থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় হায়দরাবাদের চিকড়পল্লী থানায় আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তারক্ষী এবং সন্ধ্যা সিনেমা হলের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা করে রেবতির পরিবার।
রেবতির পরিবারের অভিযোগ, আল্লু অর্জুনের আগমনের কোনো আগাম খবর দেওয়া হয়নি। প্রেক্ষাগৃহের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।