সেলিব্রিটিদের লাইফস্টাইল, রূপ-লাবণ্যের রহস্য জানতে কমবেশি সকলেরই একটা আগ্রহ কাজ করে। অতীতে কেমন দেখতে ছিল, তারা কী খেতে পছন্দ করে, কোথায় তারা তাদের ছুটি কাটাতে পছন্দ করে- এসব বিষয় নিয়ে মানুষের কৌতূহলের কমতি নেই। বিশেষ করে সেলেব্রিটিদের চকচকে ত্বকের গোপন রহস্য জানার আগ্রহ বেশি লক্ষ করা যায়; জানতে চান, কীভাবে তারা ত্বকের যত্ন নেন। অনেক বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই সাক্ষাৎকারে সর্বদা যে উত্তরটি দিয়েছেন, তা হল প্রচুর পানি পান করে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা। কিন্তু এটুকুই কি লাগে? ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরকে বলতে শোনা যায়, তার নাকি কোনো স্কিন কেয়ার রুটিন নেই। শুধু একটি ফেসওয়াশ ও একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন বলে জানান। শ্রদ্ধা কাপুরের এই জবাব মেনে নিতে পারেনি নেটিজেনরা। তাকে পড়তে হল ট্রোলের মুখে! এমনকি, উঠে আসছে অভিনেত্রী ও ফ্যাশনিস্তা সোনম কাপুর আহুজার কথাও। যিনি অভিনেতাদের সবসময় ‘নিখুঁত’ দেখতে লাগা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। শ্রদ্ধাকে কটাক্ষ করে এক নেটিজেন বোঝাতে চাইলেন যে তিনি ‘সার্জারি সুন্দরী’। লিখেছেন, ‘এই ব্যাপারে আমি অন্তত সোনম কাপুরের প্রশংসা করি। তিনি সৎ ছিলেন। কিন্তু আমরা সবাই জানি, তোমার স্কিনকেয়ার রুটিন নয়, তোমার সার্জারির দরকার পড়ে।’ এদিকে, আরেক নেটিজেন সোনমের কথা টেনে লিখেছেন, ‘যখন আমি এই ধরনের বাজে কথা শুনি, আমার মনে তৎক্ষণাৎ কয়েক বছর আগে সোনম কাপুরের আশ্চর্যজনক পোস্টের কথা চলে আসে, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে প্রতিটা তারকার এমন একটা বাহিনী আছে, যাদের কাজ সেই তারকাকে সুন্দর লাগানো। তারা সকলেই দামি দামি পণ্য ব্যবহার করে। একজন অভিনেত্রীকে এভাবে কথা বলতে দেখলে অবাক লাগে। শুধু ময়েশ্চারাইজার, শুধু জল, শুধু গঙ্গাজল ইত্যাদি ইত্যাদি।’ শ্রদ্ধা এমনিতে বেশ প্রিয় নেটিজেনদের। খুব একটা ট্রোলও হন না তিনি। তবে এবার যেন ব্যাপার সম্পূর্ণ আলাদা। কাজের সূত্রে তাকে শেষ দেখা যায় ‘স্ত্রী টু’-তে। যা ৫০০ কোটির ঘরে ঢুকে পড়েছে। ছবিটি পাঠান, গাদার, অ্যানিম্যাল-এর আয়কেও ছাড়িয়েছে।