শহীদের রক্ত কখনো বিফলে যায় না : ফারুকী

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে উত্তাল সারা দেশ। এক দফা এক দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের রেশ ধরে ছাত্রলীগের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ ঘটনায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন ৬জন। আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশের মানুষ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যখন সারা দেশ উত্তাল, তখন তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শোবিজ তারকারাও।

ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত তোলায় প্রতিবাদে সরব হন। বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেন, আপনারা যারা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরীর জন্য, তারা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সবগুলা শ্লোগান খেয়াল করেন। দেখবেন, এই আন্দোলন নাগরিকের সম মর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন নিজের দেশে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে না বাঁচার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আছেন তাদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, দেশের মালিক তারা না। আসল মালিক জনগণ। সেই জনগণকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা। রাষ্ট্র জনগণকে কেনো পাত্তা দেয়না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও শ্লোগান আকারে শুনেছি। আমি এটাকে এইভাবেই পাঠ করছি।

তিনি আরও লিখেন, পাবলিক সারভেন্ট শব্দটা বেশ ভালো। নির্বাচিত (!) প্রতিনিধি বা যে কোনো সরকারী বেতনভুক্ত ব্যক্তিকে এই শব্দেই ডাকা উচিত সবসময়। এই আন্দোলন সেই পাবলিক সারভেন্টদের মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, আপনি আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। অল পাওয়ার টু দ্য পিপল। অল পাওয়ার টু দ্য ইয়ুথ। প্রেয়ারস ফর মাই ফেলো সিটিজেনস।

শহীদের রক্ত কখনো বিফলে যায় না। প্রসঙ্গত, সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজার ঘোষণা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী আজ বুধবার ৪টার পর থেকে গায়েবানা জানাজা পড়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্ত্বরে জড়ো হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেলে নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থীরা দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করেন।