আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১৪ আগস্টের রাত দখলের সময় শঙ্খ বাজানোর একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর তাতেই চটে যায় জনগণ। এরপর সম্প্রতি পূজার ফটোশুটের একটি ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী। যেখানে কখনো শাড়ি তো কখনো কো-অর্ড পোশাকে সেজেছিলেন তিনি। তবে কমেন্ট সেকশনে দেখা গেল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একাংশ যেমন ঋতুপর্ণার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছে, তেমনি কেউ আবার আরজি কর প্রসঙ্গ টেনে করেছে ট্রল।
এক নেটাগরিকমন্তব্য করলেন, ‘তোমাকে দেখে মনেই হয় না বয়স বাড়ছে’! আরেকজন লেখেন, ‘মিষ্টি দিদি’। কেউ আবার ট্রল করে লিখলেন, ‘ন্যাকামো…আনলিমিটেড’। দ্বিতীয়জনের মন্তব্য, ‘শঙ্খদিদি’। আবার তৃতীয়জন লিখলেন, ‘বুড়ির লজ্জা নেই’।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই শ্যামবাজারে হাজির হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। আরজি কর নির্যাতিতার হয়ে বিচার চাইতে পথে নেমেছিলেন তিনি। তবে সেখানে অভিনেত্রীকে দেখেই ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী দাবি করেন, তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণও করা হয়।
এরপর সংবাদমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা জানান, ‘আমাকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। উলুধ্বনি এবং শাঁখ বাজিয়ে ব্যঙ্গও করা হয়েছে, তবে তাতে আমি কিছু মনে করিনি। তবে এরপর আমার গাড়িতে জুতা ছোড়া হয়। তখন আমি গাড়ির দরজা খুলে বলি, আপনারা এমন করবেন না, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। তবে কেউ কোনও কথাই শুনলেন না। আমার মনে হয় প্রতিবাদের কথা না মনে রেখে জমায়েতে হুজুগে চলে গিয়েছিলেন। বুঝতে পারছি যে সকলেই ক্ষুব্ধ। তবে কলকাতার এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত। বুধবার রাতে আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত।’
এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী সেই সময় দাবি করেছিলেন একটা সংখ্যক মদ্যপ-ই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঋতুপর্ণার দাবি, হঠাৎ করে আসা একটা জনস্রোত তাকে ধাক্কা দিতে শুরু করে। এতটাই চিৎকার-চেঁচামিচি হচ্ছিল যে তিনি কিছু শুনতে পাচ্ছিলেন না।