অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র। ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে ফেলার পর এখন তিনি অনেকটাই স্থিতিশীল। বাংলা নববর্ষে আসছে তার নতুন সিরিজ ‘অমৃতের সন্ধানে’। ক্যারিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন- সব নিয়ে অকপট অভিনেত্রী। সিরিজ মুক্তির আগে আনন্দবাজার অনলাইনে সৌরসেনী জানালেন, বাইরে থেকে যতটা ঝাঁ-চকচকে মনে হয়, ঠিক ততটা ‘গ্ল্যামার্স’ জীবন আমাদের নয়। তবে ঠিক আছে, আমি এতেই খুশি। চুটিয়ে কাজ করছি। এই নববর্ষে যে সিরিজটি আসছে ‘অমৃতের সন্ধানে’ সেটাও দর্শকের ভালো লাগবে বলে আমার আশা। দর্শক ভালোবাসা দিচ্ছে বলেই তো এই কাজটা করেছি। সৌরসেনী বললেন, অভিনয় করব সেটাই ভাবিনি। কাজ করতে করতে শিখেছি। যে সুযোগ পেয়েছি তার সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। সুতরাং বর্তমানে আমি ক্যারিয়ারের যে জায়গায়, তাতে সত্যিই খুশি। জীবনের প্রথম কাজ ‘চিটাগং’। সেই সুযোগটা খুব অদ্ভুতভাবে এসেছিল। তারপর ‘উম্রিকা’ করার সময় মনে হয়েছিল যে অভিনয়টাই করতে চাই। তারপর অনিকদার সঙ্গে কাজ। ২০১৬ সালে অভিনয় করেছেন পরিচালক অনিক দত্তের বাংলা ছবি মেঘনাদবধ রহস্যে। ‘অমৃতের সন্ধানে’ দর্শক নন্দিত হওয়ার কারন সম্পর্কে অভিনেত্রী জানালেন, পরিচালক অভিনন্দন দত্তের এই গল্পটা দারুণ পছন্দ হয়েছিল আমার। বেশ রোমাঞ্চকর, মাইথোলজিক্যাল থ্রিলার। একটা রহস্য রয়েছে এই গল্পে। আর এমন গল্প বাঙালিরা দেখতে ভালোবাসে। অমৃতের সন্ধানের চরিত্র দিশা চট্টোপাধ্যায় ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছেন। ফেলুদায় একটি পুলিশের চরিত্র। অভিনেতা হিসেবে তো আমার একবারও মনে হয়নি যে একই ধরনের চরিত্র বারবার করছি। একই ধরনের চরিত্র আরও বড় চ্যালেঞ্জ বললেন অভিনেত্রী। একই চরিত্র বিভিন্ন জায়গায় কতটা আলাদাভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারছি- সেটাই তো বড় ব্যাপার। সৌরসেনী বলেন, কাজ করতে করতে শেখা বেশ কঠিন। অনিকদার সঙ্গে যখন কাজ করেছি, তখন সোহাগ ম্যামের (সোহাগ সেন) থেকে কাজ শেখার সুযোগ পাই। আমি আমার পরিচালকদের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। ওরা যেমন বলেন ঠিক তেমনই করার চেষ্টা করি। যা পেয়েছেন তাতেই খুশি এই অভিনেত্রী। এ পেশায় না আসলে তিনি শিক্ষিকা হতেন বলে জানালেন। চারিদিকে তো আপনার প্রেম নিয়ে অনেক চর্চা। নিখিল জৈনের ‘রঙ্গোলি’ ব্র্যান্ডের মুখ হওয়ার পর অনেকেরই ধারণা যে, তার সঙ্গেই আপনি প্রেম করছেন। সেটা কি সত্যি? এমন প্রশ্নের জবাবে সৌরসেনী বলেন, বেচারা নিখিল! আমি যাই বলি না কেন লোকে যেটা ভাবার সেটাই ভাববে। এখন যদি বলি আমি প্রেম করছি না, তখন লোকে ভাববে মিথ্যা বলছি। আবার যদি বলি হ্যাঁ, করছি- তা নিয়েও বিতর্কের শেষ থাকবে না। তাই কিছু বলতেই চাই না। তাহলে আপনার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসটা কী তবে? সৌরসেনীর অকপট জবাব, আমি সিঙ্গেল, আবার কী! সূত্র: যুগান্তর