নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ করলেন জ্যোতি

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। শোবিজের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও ছিলেন বেশ সক্রিয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত জ্যোতির আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটিতে একটি পদও জুটেছিল।

গত সোমবার শেখ হাসিনার পতনের পর হঠাৎ করেই অভিভাবকহীন হয়ে গেছেন জ্যোতিকার মত কিছু তারকারা। তবে এ সকল তারকাদের নিয়মিত খবর রাখছেন দেশের ও দেশের বাইরে অবস্থিত বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। এসব তারকাদের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ খুললেই বিক্ষুব্ধ নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়ছেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শপথ পাঠের আয়োজন করা হয়। সেখানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। এর পরদিনই নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যের প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তি তুললেন জ্যোতিকা জ্যোতি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জ্যোতি লেখেন, শুভ দিন! নতুন বাংলাদেশের প্রথম দিন। ভয়ংকর কটা দিনের পর, বাক স্বাধীনতার প্রথম দিনে এই লেখার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা উদযাপন শুরু করলাম!

এ অভিনেত্রী আরও লেখেন, গতকাল সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শুধু কোরআন পাঠ হল; অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয় সেসব অনুষ্ঠানে কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এটাই আমরা দেখে আসছি সারাজীবন। ব্যক্তিগতভাবে আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠের প্রয়োজনীয়তা দেখিনা। গতকালের শপথ অনুষ্ঠানে কোরআন ছাড়া বাকি ধর্মগ্রন্থগুলো বাদ দেওয়া হলো কীসের ভিত্তিতে? কী উদ্দেশ্যে?

অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সমালোচনা করে জ্যোতি যোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত সরকার শুরুই করলো বৈষম্য দিয়ে। যেকোনো সরকারের মেয়াদ নির্ধারিত থাকে। অনির্বাচিত অন্তর্র্বতীকালীন এই সরকারের মেয়াদ কতদিন? সেটা জানানো হচ্ছেনা কেন? কবে জানব আমরা?

এর আগে হাসিনার পতনের পর ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন জ্যোতি। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে নাকি কেঁদেছিলেন বলে দাবি করে সেই গণমাধ্যম। সেখানে জ্যোতি বলেছিলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি খুবই কঠিন। বাংলাদেশে এখন সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচার হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা হচ্ছে।‘

প্রসঙ্গগত, কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি তার ফেসবুক পোস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন বলে জানা গেছে।