জায়েদ খানের মিথ্যাচার, এটি নিউটনের সেই বিখ্যাত আপেল গাছ নয়

‘আপেলটি মাটিতে পড়লো কেন?’- যে গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়েছিল আর তা থেকে মহাকর্ষের সূত্র আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন। সম্প্রতি চিত্রনায়ক জায়েদ খান দাবি করেছেন, তিনি সেই বিখ্যাত আপেল গাছের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। তার দাবি সত্য নয়।

গত ১ জুন চিত্রনায়ক জায়েদ খান তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি গাছের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘গাছটি নিউটনের সেই বিখ্যাত আপেল গাছ, যেটি লন্ডনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে অবস্থিত।’

তবে জানা যায়, প্রকৃত আপেল গাছটির অবস্থান ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে আইজ্যাক নিউটনের বাড়ির নিকটে। জায়েদ খানের পোস্ট করা গাছের ছবিটি স্যার আইজ্যাক নিউটন যে আপেল গাছের নিচে বসেছিলেন সেই প্রকৃত আপেল গাছ নয় বরং এটি আসল আপেল গাছ থেকে কলম করে তৈরি একটি গাছ।

মূলত, ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে নিউটনের বাড়ির সামনের বাগানে দাঁড়িয়ে থাকা আপেল গাছটিকেই ব্যাপকভাবে নিউটনের বসে থাকা সেই আপেল গাছ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ধারণা করা হয়, গাছটি ১৬৫০ সাল নাগাদ রোপণ করা হয়েছিল এবং ১৮১৬ সালের দিকে ঝড়ের ফলে গাছটি আংশিক ভেঙ্গে গিয়েছিল। কিন্তু গাছটি পুনরায় শিকড় দেয় এবং প্রায় ৩৫০ বছরের বেশি পুরোনো এই গাছটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে।

অন্যদিকে, ফেসবুকে যে গাছের ছবিটি প্রচার করা হচ্ছে, তা যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ট্রিনিটি কলেজের প্রধান ফটকের পাশে অবস্থিত। এই আপেল গাছটি ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে নিউটনের বাড়ির সামনে অবস্থিত আসল মাতৃগাছটি থেকে কলম করে তৈরি করা হয়েছিল।

নিউটনের অবদানকে স্মরণ রাখার জন্য ১৯৫৪ সালে এই গাছটি সেখানে রোপণ করা হয়েছিল। এই গাছ থেকে সবুজ আপেল পাওয়া যায়। সরাসরি খাওয়া না গেলেও সেটি রান্না করলে খাওয়ার উপযোগী হয়। আর নিউটন যে মাতৃগাছটির নিচে বসেছিল সেই গাছটির ফল হচ্ছে লাল আপেল, যা সরাসরি খাওয়ার উপযোগী। শুধু ট্রিনিটিতেই নয়, নিউটনের সেই মাতৃগাছটির এমন ক্লোন সারাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই রয়েছে।

ডেইলি-বাংলাদেশ