দীর্ঘ সময় পরে গত শুক্রবার মুম্বআই বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিল এক সময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী আয়েশা টাকিয়াকে। অনেক দিন পর্দায়ও নেই তিনি। চর্চায়ও যে খুব একটা ছিলেন, তেমন নয়। তবে লম্বা সময় পরে প্রকাশ্যে আসতেই অভিনেত্রীর চেহারা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। আগের আয়েশার সঙ্গে এখনকার আয়েশার বাহ্যিক কোনও মিল নেই।
২০১৭ সাল থেকেই আয়েশার চেহারায় পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তার পরে অবশ্য খুব বেশি বার আয়েশাকে দেখা যায়নি। এদিন আয়েশাকে দেখে বোঝা গেল ঠোঁটের গঠন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। ঠোঁটও আগের চেয়ে অনেকটাই পুরু। মুখও ফুলে গেছে আগের তুলনায়। সবটাই প্লাস্টিক সার্জারির দৌলতে। সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ‘নতুন’ আয়েশাকে নিয়ে কয়েক দিন এক নাগাড়ে কাটাছেঁড়া চলছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে দু’দিন আগে আয়েশা মুখও খুলেছিলেন। কিন্তু এবার সহ্যের সীমা পেরোল সালমানের নায়িকার। দিলেন স্পষ্ট জবাব।
চেহারা নিয়ে যে সমালোচনার আর কটাক্ষের ঝড় বয়ে চলেছে, গত শনিবার সে প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন আয়েশা। ‘সোচা না থা’র নায়িকা বলেছিলেন, ‘মানুষ কীভাবে তোমাকে দেখবে সেটা তোমার হাতে নেই। তুমি যাই করো না কেন, সেটা বিচার হয় অন্য মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। হয়তো তার সঙ্গে তোমার তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। শুধু তুমি তোমার কাজ করে যাও মন দিয়ে।’
আয়েশার মন্তব্যেও কাজ হয়নি। থামেনি সমালোচনা। অবশেষে নিজেই যুদ্ধক্ষেত্রে নামলেন আয়েশা। ইনস্টাগ্রামের পাতায় লিখলেন, ‘গত শুক্রবার আমি গোয়ায় যাচ্ছিলাম। আমাদের পরিবারের এখন খারাপ সময়। আমার বোন হাসপাতালে ভর্তি। সেখানেই যাচ্ছিলাম। বিমান ধরার আগে কয়েক মুহূর্তের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু তার পর থেকে দেখছি, আমার চেহারা আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমায় কেমন দেখতে লাগছে সেটাই দেখছি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমার মনে হয়, এ সব করে আসলে সময় নষ্ট হচ্ছে। আমার পর্দায় ফেরার কোনও ইচ্ছা নেই। তাই আমায় কেমন দেখাচ্ছে, সেটা নিয়ে অকারণ ভাবনা ঠিক নয়। আমি খুব ভালো আছি জীবনে। দয়া করে আমাকে আমার মতো থাকতে দেওয়া দিন। আমি এই চর্চা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।’