আবু ধাবিতে ‘উৎসব’ সেরে ফিরল বলিউড। সেই উৎসবে বলিউডের নক্ষত্র সমাবেশও হয়েছিল যারপরনাই। শাহরুখ খান থেকে শুরু করে জাহ্নবী কপূরের মতো নব্য প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও জমকালো সাজে আলো করেছিলেন বলিউডের খ্যাতনামা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ। তবে বহু তারকাকে আবার চেনা ছন্দে পাওয়াও গেল না। উৎসবের মঞ্চে পোশাক সমালোচকদের কটাক্ষের শিকারও হতে হল ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, কৃতি শ্যানন, অনন্যা পাণ্ডেদের। ফ্যাশনের পরীক্ষায় কারা সমালোচকদের কাছে পাশ নম্বর পেলেন না? অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর থকে সমস্ত অনুষ্ঠানে মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই হাজির হচ্ছেন ঐশ্বর্যা। প্যারিস হোক বা আবু ধাবি, সর্বত্রই সকন্যা তিনি। সম্প্রতি প্যারিসে ঐশ্বর্যার পরনের রক্ত-লাল গাউন সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু আবু ধাবিতে ঐশ্বর্যা মেয়ের হাত ধরে এলেন কালো রঙের লম্বা ঝুলের জ্যাকেট আর স্যুট পরে। ইদানীং ঐশ্বর্যার চেহারা সামান্য ভারী হওয়ায় তাঁর বেশির ভাগ পোশাকেরই পিছন দিকে মাটিতে লুটিয়ে থাকে ‘কেপ’। কালো স্যুটেও তার ব্যত্যয় হয়নি। সঙ্গে জ্যাকেটে ছিল হালকা সোনালি ক্রিস্টালের নকশা। যা দেখে ফ্যাশন সমালোচকেরা বলছেন, ‘‘বড্ড বেশি একঘেয়ে আর বড্ড বেশি কালো।’’ জাতীয় পুরষ্কার পাওয়ার পর থেকে কেরিয়ার নতুন মোড় নিয়েছে কৃতির। ঝুলিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ছবিও। আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৃতির ফ্যাশনবোধ প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু আবু ধাবিতে প্রথম দিনে আঁটসাঁট ফিশনেট গাউন পরেছিলেন কৃতি। পোশাকটির গলার অংশটি ছিল অত্যন্ত খোলামেলা। যা দেখে ফ্যাশন সমালোচকেরা বলছেন, মনে হচ্ছে কিছুটা জোর করেই শরীর প্রদর্শন করছেন কৃতি। ব্যাপারটাকে ‘সস্তা মানসিকতা’ বলে কটাক্ষও করেছেন কেউ কেউ। লাল রং দূর থেকে চোখে পড়ে। টুকটুকে লাল মিনি ড্রেসে অনন্যাও দূর থেকে চোখে পড়ছিলেন। কিন্তু ফ্যাশন সমালোচকেরা বলছেন, অনন্যা শুধু চোখেই পড়ছিলেন, তাঁকে দেখতে ভাল লাগছিল না মোটেই। উরুর মাঝামাঝি থমকে যাওয়া লাল পোশাকটি অনন্যা পরেছিলেন লাল রঙের টাইটস আর লাল স্টিলেটো দিয়ে। জামায় দু’-একটা কালো রঙের গোলাপ ছাড়া অনন্যার পোশাকের গোটাটাই ছিল লালে লাল। সমালোচকদের কেউ কেউ নাকি জনান্তিকে অনন্যাকে ‘চলন্ত করোনাভাইরাস’ বলেও কটাক্ষ করেছেন! দু’দিনের অনুষ্ঠান। দু’দিনই সন্ধ্যায় উর্বশী রাউতেলা এমন সাজে হাজির হলেন যে, ফ্যাশন সমালোচকেরা তাঁর তুলনা টানলেন হলিউডের অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে। প্রশংসা নয় অবশ্য। সমালোচকেরা বলেছেন, উর্বশীকে জোলির অভিনীত চরিত্র ‘ম্যালেফিসিয়েন্ট’-এর মতো লাগছে। উল্লেখ্য, চরিত্রটিকে ছবিতে খলনায়িকা হিসাবেই উপস্থাপন করা হয়েছিল।