অভিনেত্রী হিসেবে আলিয়া ভাটের যাত্রা অবাক করার মতো। স্বজনপ্রীতির তকমা গায়ে সেঁটেই ২০১২ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় পাড়ি জমান তিনি। তবে পারিবারিক পরিচয় ছাপিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় দাঁড় করাতে খুব বেশি সময় লাগেনি তার।
এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত সিনেমা ‘হাইওয়ে’। রণদীপ হুদার সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে প্রথমবার নিজের অভিনয়সত্তার পরিচয় দেন তিনি।
২০১৬ সালে অভিষেক চৌবে পরিচালত ‘উড়তা পাঞ্জাব’ সিনেমা আলিয়ার ক্যারিয়ারের আরেক টার্নিং পয়েন্ট। শহিদ কাপুর, কারিনা কাপুরের মতো অভিনয়শিল্পীদের ছাপিয়ে সেই সিনেমায় আলিয়ার অভিনয় সবার নজর কাড়ে। এই সিনেমায় পারফরম্যান্সের জন্য ফিল্মফেয়ারের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন তিনি।
বলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে আলিয়া ভাটের অভিনয়ের স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। এই নির্মাতার ‘ইনশাআল্লাহ’ নামের এক সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল তার। কিন্তু কোনো কারণে সেই সিনেমার কাজ আটকে গেলে হতাশায় মুষড়ে পড়েন আলিয়া।
তবে সঞ্জয় লীলা বানসালি পরবর্তীতে আলিয়াকে নিয়ে বানিয়েছেন সাড়া জাগানো সিনেমা ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’। সেই সিনেমায় নামভূমিকায় আলিয়ার অনবদ্য পারফরম্যান্স ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সম্প্রতি আইএমডিবির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই তিন সিনেমাকে তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া কাজ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আলিয়া, ‘হাইওয়েতে অভিনয় করার পর প্রথমবার আমি নিজের মধ্যে বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করি। উড়তা পাঞ্জাবের চরিত্রটি আমাকে খুব অস্বস্তিতে ফেলেছিল। সেটাই সম্ভবত আমার প্রথম এবং একমাত্র সিনেমা যেটাতে মেথড অ্যাক্টিং করেছিলাম। আর সবশেষে বলব গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ির কথা-এই সিনেমায় কাজ করার পর আমার অভিনয়শিল্পী সত্তা আমূল পাল্টে যায়।’
আলিয়া ভাটের সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘জিগরা’। গত ১১ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন ভাসান বালা। এতে আলিয়ার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তরুণ অভিনেতা ভেদাং রায়না।