অভিনয় ছাড়াও যে কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন ক্যাটরিনা

১৪ বছর বয়সে জুয়েলারীর বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু হয় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের। লন্ডনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা কাঈজাদ গুস্তাদ লন্ডনে মডেলিং কাজে নিয়োজিত কাইফকে চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দায় নিয়ে আসেন।

২০০৩ সালে বুম ছবিতে কাইফকে তিনি অংশগ্রহণের সুযোগ দেন। মুম্বাইয়ে অবস্থানকালীন অনেকগুলো বিজ্ঞাপনচিত্রের প্রস্তাব পান। কিন্তু, চলচ্চিত্র পরিচালকেরা হিন্দি ভাষায় কথা বলতে না পারায় ক্যাটরিনা’র সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হতে দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন। ২০০৫ সালে ‘ম্যায়নে পেয়্যার কিউঁ কিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেই সকলের নজরে আসেন তিনি।

২০০৬ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অভিনীত হামকো দিওয়ানা কর গায়ে ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে অসফল হয়। ২০০৭ সালে কাইফের প্রধান সাফল্য আসে ব্যবসা সফল নমস্তে লন্ডন চলচ্চিত্রে অংশ নিয়ে। সেখানে তিনি একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় মেয়ে হিসেবে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে দ্বিতীয় বারের মতো অভিনয় করেন। তারপর আপনে ছবিটি মোটামুটি সফল হলেও পার্টনার (২০০৭) এবং ওয়েলকাম ছবি দু’টি বিরাটভাবে বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করে। উভয় ছবিই ব্লকবাস্টারের মর্যাদা পায়।

নিজের পরিশ্রম আর যোগ্যতা দিয়ে বলিউডে নিজের জমি তৈরি করেছিলেন ক্যাটরিনা। ‘ওয়েলকাম’, ‘পার্টনার’, ‘নিউ ইয়র্ক’, ‘এক থা টাইগার’ ক্যাটরিনার কেরিয়ারের ঝুলিতে বাণিজ্য-সফল সিনেমার অভাব নেই। পারিশ্রমিকের দিক থেকেও ক্যাটরিনা অনেককেই ছাপিয়ে গিয়েছেন। ক্যাটরিনাকে নায়িকা হিসাবে নেয়ার আগে প্রযোজক-পরিচালকদের নাকি খানিক ভাবতে হয়।

গত কয়েক বছর ধরে ক্যাটরিনার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২২৪ কোটি টাকা। ক্যাটরিনা বার্ষিক যত টাকা আয় করেন, তার বেশির ভাগেরই উৎস সিনেমা। কিন্তু সেটাই একমাত্র উপার্জনের মাধ্য নয়। অভিনয় ছাড়াও আরো অনেক কাজ করে ক্যাটরিনা অর্থ উপার্জন করেন। যেখান থেকেও মোটা টাকা আয় করেন তিনি। ক্যাটরিনার প্রসাধনী সংস্থা ‘কে বিউটি’র কথা অনেকেই জানেন। ২০১৯ সালে প্রথম বাজারে আসে এই সংস্থা। সেখান থেকেও অর্থ উপার্জন করেন তিনি।

২০২২ সালের একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ১০০ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে এই সংস্থা। নিজের সংস্থা বাদ দিয়েও সম্প্রতি অন্য একটি সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন। সেখান থেকেও বছরে মোটা অঙ্কের টাকা জমা হয় ব্যাংকে। এছাড়া ইনস্টাগ্রামে অন্যান্য সংস্থার হয়ে প্রচারও করেন ক্যাটরিনা।

সূত্রের খবর, প্রচারমূলক কাজের জন্য ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন ক্যাটরিনা। বেশ কিছু বড় সংস্থার মুখ হিসাবেও কাজ করেন ক্যাটরিনা কাইফ। প্রতিটি সংস্থা থেকে বছরে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা পান ক্যাটরিনা।