চিত্রনায়িকা অধরা খান এই মুহূর্তে রয়েছেন সিঙ্গাপুরে। কিছুদিন আগেই মাকে নিয়ে উড়াল দেন। গিয়েছিলেন মালয়েশিয়ায়। সেখান থেকেই এখন সিঙ্গাপুরে। মাকে নিয়ে মূলত ঘোরা ও চিকিৎসার জন্যই এই বিদেশ যাত্রা। এরপর দেশে ফিরে শুরু করবেন সিনেমার কাজ। সিঙ্গাপুর থেকেই অধরার সঙ্গে কথা হলো। বললেন, মাকে নিয়ে এখন সিঙ্গাপুরে রয়েছি। আমরা চিকিৎসার জন্য এসেছি। এর আগে কুয়ালালামপুর গিয়েছিলাম। কখনো মাকে নিয়ে ঘোরা হয়নি, তাই চিকিৎসার জন্য যেহেতু বের হয়েছি, তাই ভাবলাম একটু ঘোরাঘুরি করে তারপর ডাক্তার দেখাই। এখন আমরা এখানে (সিঙ্গাপুরে) চিকিৎসা নিচ্ছি, তারপরই দেশে ফিরব।’
দেশে ফিরেই ব্যস্ত হয়ে যাবেন এই অভিনেত্রী। এমনটাই জানিয়ে বললেন, আমার হাতে তিনটি সিনেমার কাজ রয়েছে। একটি সিনেমার কাজ শুরু হবে ডিসেম্বরে। একই পরিচালকের দুটি সিনেমা, সঙ্গত কারণেই এখন কিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বাকি একটি সিনেমার কাজ হবে লন্ডনে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য দুই দেশেই এর শুটিং হবে। প্রযোজক লন্ডনের। আপাতত এই তিনটি সিনেমার কাজ চূড়ান্ত হয়ে আছে। তবে মৌখিকভাবে আরেকটি সিনেমার কথা রয়েছে। দেখা যাক।’
কাজ করতে যাওয়া সিনেমার গল্পকে বেশ হৃদয়গ্রাহী বলে জানালেও তার সঙ্গে কে স্ক্রিন শেয়ার করছেন জানালেন না। বললেন, ‘এখনই তো সবকিছু বলা যাচ্ছে না। প্রতিটি প্রজেক্টের কিছু নিয়ম ও শর্ত থাকে। আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর বিষয় থাকে। ফলে আমার দিক থেকে যদি এমন কিছু তথ্য প্রকাশ পায়, তবে সেটা শর্ত ভঙ্গের মধ্যে পড়ে। তবে আমার পক্ষ থেকে যতটুকু বলার ততটুকু বলেছি।’
এ ছাড়া দুটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন অধরা। সিনেমা দুটি হচ্ছে সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘দখিন দুয়ার’ ও জাহিদ হোসেনের ‘ঋতুকামিনী’। দুটি সিনেমার ডাবিংও শেষ করেছেন তিনি।
এই দুই সিনেমা প্রসঙ্গে অধরা খান বলেন, ‘দখিন দুয়ার’ সিনেমায় আমি খেয়া চরিত্রে এবং ‘ঋতুকামিনী’-তে আমি কুমকুম চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে দুজন সিনেমা দুটি নির্মাণ করেছেন দুজনই ভীষণ মেধাবী পরিচালক। তাদের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর প্রতি দর্শকের ভালো লাগা ছিল, ভালোবাসা ছিল। যে কারণে বলা যায় বেশ আগ্রহ নিয়েই তাদের সিনেমায় অভিনয় করেছি। একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছি এই দুটি সিনেমায়। আমি ভীষণ আশাবাদী সিনেমা দুটি নিয়ে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই দুই গুণী পরিচালককে।