নামাজের সময় দৃষ্টি স্থির রাখার বিধান

নামাজের আদব হলো, দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার জায়গায় দৃষ্টি রাখা, যাতে পূর্ণ একাগ্রতা সৃষ্টি হয়, ডানে-বাঁয়ে দৃষ্টি না যায়। এটি সুন্নত। তবে কোনোভাবে দৃষ্টি চলে গেলে নামাজ ভঙ্গ হবে না। (আদদুররুল মুখতার : ১/৪৪৭)

নামাজরত মুক্তাদির জন্য ইমাম সাহেবের দিকে তাকিয়ে থাকা সুন্নতবহির্ভূত কাজ।

সিজদায় পা রাখার সুন্নত পদ্ধতি হলো, পা খাড়া রেখে আঙুলগুলো কিবলামুখী রাখা। এর বিপরীত হলে নামাজ ভাঙবে না। (ফাতাওয়া ফকিহুল মিল্লাত : ৩/২৮৫, ফাতাওয়া শামি : ১/৪৯৩)মূল বিষয় হলো, নামাজে এদিক-সেদিক না তাকানো। কেননা এটি নামাজে মনোযোগ ও একাগ্রতা রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী হাতিয়ার।

হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছি, নামাজে এদিক-সেদিক তাকানোর ব্যাপারে আপনি কী বলেন? জবাবে তিনি বলেছেন, এটা হলো শয়তানের ছোঁ মারা, যা দ্বারা শয়তান আল্লাহর বান্দাদের নামাজ থেকে গাফিল ও উদাসীন করে ফেলে। (বুখারি, হাদিস : ৭১৮)প্রশ্ন হলো, নামাজে এদিক-সেদিক না তাকানোর পদ্ধতি কী হবে—এ বিষয়ে  মুজতাহিদ ইমামরা একাধিক অভিমত দিয়েছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, নামাজের সময় দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার দিকে থাকবে, রুকু অবস্থায় থাকবে দুই পায়ের মাঝখানে, বসা অবস্থায় থাকবে কোলের দিকে, সিজদা অবস্থায় থাকবে নাকের দিকে। (কিতাবুল মাবসুত : ১/২৮)

কেননা দৃষ্টি প্রসারিত করলে মন এদিক-সেদিক চলে যাবে।

সংকুচিত করলে নামাজে মনোযোগ আরো ভালো থাকবে। এ জন্য প্রসারিত করার চেয়ে সংকুচিত করা উত্তম। পক্ষান্তরে কোনো কোনো ইমাম বলেছেন, পুরো নামাজের সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে।