আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি যিনি

ইজ্জত-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি মহান আল্লাহর নিয়ামত। তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন, যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, হে আল্লাহ! তুমি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো আর যার থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা অপদস্থ করো, তোমারই হাতে সব রকম কল্যাণ, নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ২৬)

ইসলামের দৃষ্টিতে সম্মানের মাপকাঠি তাকওয়া।যে আল্লাহকে ভয় করে, একনিষ্ঠভাবে ইবাদত-বন্দেগি করে, মানুষের সঙ্গে নম্র আচরণ করে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন। মানুষও তাকে মন থেকে ভালোবাসে, সম্মান করে। কিন্তু কিছু মানুষ এমন আছে, যারা অনিষ্টের ভয় দেখিয়ে সম্মান ও ক্ষমতা অর্জন করতে চায়। মানুষের ওপর অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চায়।

সম্মানিত লোকদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে তারা নিজেদের ক্ষমতা জানান দিতে চায়। অনেক সময় সম্মানিত ও সম্ভ্রান্তদের অর্থ-সম্পদও হাতিয়ে নিতে তারা বিভিন্ন ফন্দি-ফিকির করে। মানুষ এদের অনিষ্টের ভয়ে ওপরে ওপরে এদের সম্মান করলেও ভেতর থেকে যেমন ঘৃণা করে ও তাদের থেকে দূরে সরে যায়, তেমনি মহান আল্লাহর দরবারেও এরা নিকৃষ্ট হয়ে ওঠে।

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইল।তিনি বলেন, তাকে অনুমতি দাও। সে তার বংশের নিকৃষ্ট সন্তান। অথবা বলেন, সে তার গোত্রের ঘৃণ্যতম ভাই। যখন সে প্রবেশ করল, তখন তিনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথাবার্তা বলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি এর ব্যাপারে যা বলার তা বলেছেন।এখন আপনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথা বললেন। তিনি বলেন, হে আয়েশা! আল্লাহর কাছে মর্যাদায় নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যার অশালীন ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংসর্গ বর্জন করে চলে। (বুখারি, হাদিস : ৬১৩১)

তাই প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জনের জন্য এমন কোনো পন্থা অবলম্বন করা উচিত নয়, যা দুনিয়া ও আখিরাতে মানুষকে নিকৃষ্ট করে তোলে।