সুন্দরী প্রতিবেশীকে নিয়ে স্বামীর আগ্রহ, যা বললেন স্ত্রী

কোনো নারীই তার মনের মানুষের ভাগ অন্য কাউকে দিতে চান না। আবার এটাও চান না যে তার মনের মানুষ অন্য কোনো নারীর প্রশংসা বা ভয়ঙ্কর কোনো মন্তব্য করুক। কারণ যখন একজন পুরুষ তার প্রতিবেশী নারী সম্পর্কে একটি প্রশংসামূলক বা অন্যরকম মন্তব্য করে তখন এটি তার সঙ্গীকে সম্পূর্ণরূপে বিভ্রান্ত করে।

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা এমন লোকদের পছন্দ করার জন্য দোষী; যাকে আসলেই পছন্দ করা উচিৎ নয়। সম্ভবত আপনি আপনার বোনের বয়ফ্রেন্ডের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, বা সামান্য মজার জন্য ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের সাথে ফ্লার্ট করেছেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি তার সঙ্গীর জন্য অনেক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করে।

ডেইলি মিররে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নারী জানান, তার স্বামী তার আকর্ষণীয় প্রতিবেশীর প্রতি অস্বাভাবিক আগ্রহ প্রকাশ করে। যদিও তিনি নিশ্চিত নন যে সেই প্রতিবেশী নারীর প্রতি তার স্বামী আগ্রহটা কত বেশি। তবে তিনি এই উদ্ভট বিষয়টা সহজে মেনে নিতে পারেননি।

রেডিটে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ওই নারী বলেন, আমরা পাঁচ বছর ধরে একসাথে ছিলাম এবং কয়েক মাস আগে একটি নতুন শহরে চলে এসেছি। আমাদের প্রতিবেশী ছিল অল্পবয়স্ক দম্পতি। আমরা এখানে আসার পরই তারা আমাদের সাথে সাক্ষাত করতে এসেছিল। যদিও ওই দম্পতি আমাদের থেকে প্রায় ১৫-২০ বছরের ছোট ছিল, কিন্তু তারা আমাদের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল।

ওই নারী বলেন, তারা চলে যাওয়ার পরে কোনো প্রসঙ্গ ছাড়াই আমার স্বামী বলে উঠে ‘আমি কখনই ওই নারীর সাথে শারিরীক মেলামেশা করতে পারব না’। কিন্তু আমরা কেবল তাদের সম্বন্ধে আলাপ করছিলাম এবং তাদের সাথে মিলেমিশে থাকতে চাচ্ছিলাম। আর এর মাঝেই আমার স্বামী আমার প্রতিবেশী নারীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করে বসে। এই মন্তব্যের পরের সপ্তাহগুলোতে বিষয়গুলো আরও অদ্ভুত হয়ে উঠে বলে মনে হচ্ছিল।সে সময় আমার পরিবারের একজনের মৃত্যু হয়েছিল এবং কয়েকদিনের জন্য সেখানে চলে গিয়েছিলাম।

পরকীয়াপরকীয়া

সেই সময় আমরা আমাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র সেই প্রতিবেশীদের কাছে রেখে যাই এবং কৃতজ্ঞতা দেখানোর জন্য আমার স্বামী তাদের একটি ধন্যবাদ কার্ড পাঠান। কার্ডটির পেছনে দেখে স্বাভাবিক মনে হলেও পুরো বিষয়টি আসলে আমার কাছে অদ্ভুত মনে হয়েছিল। কারণ, আমি যখন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য গিয়েছিলাম আমার প্রেমিক আমাকে কোনো ফুল বা কার্ড কিনে দেওয়া তো দূরে থাক; কয়েকদিন ফোন দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেনি।

আর এসব কারণে আমি বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলাম। ভাবছিলাম সম্ভবত আমার স্বামী ওই নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গেছে। আমি খুব আঘাত পেয়েছিলাম এবং তার প্রতি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস চলে যায়। তবে এর আগে আমার স্বামী এমন কিছু করেনি যাতে তাকে অবিশ্বাস করা যায়। তবে আমাদের ওই প্রতিবেশী নারী অনেক আকর্ষণীয় ছিল। আর এ কারণে আমি এটি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তবে আমার মনে হয়, আমি বিষয়টি অনেক জটিলভাবে ভেবেছি। তাই হয়তো আমার কাছে এমন মনে হয়েছে।