সন্তানকে জড়িয়ে ধরার দিন আজ

সন্তানের জীবনে বাবা-মা যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বাবা-মায়ের জীবনে সন্তান। আর বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের বন্ধন দৃঢ় ও অটুট করে।

গবেষকদের মতে, শিশুদের স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য ইন্দ্রিয় উদ্দীপনা খুব প্রয়োজন। স্পর্শ, বিশেষ করে আলিঙ্গন শিশুদের মস্তিষ্ক ও সুস্থ শরীরের জন্য চমৎকার উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। এতে শিশু চটপটেও হয়।

আজ সোমবার (১৫ জুলাই) কিন্তু বাবা-মা ও সন্তানের ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় করা অর্থাৎ বুকে জড়িয়ে ধরার দিন। এ জন্য প্রতিবছর পালিত হয় ‘গ্লোবাল হাগ ইওর কিডস ডে’ বা বিশ্বব্যাপী সন্তানদেরকে জড়িয়ে ধরার দিবসটি। প্রতিবছর জুলাই মাসের তৃতীয় সোমবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় এই দিবস।

আলিঙ্গনের উপকার

১. একটি হাগ, আলিঙ্গন বা জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে আপনি সন্তানদেরকে কতটা ভালোবাসেন তা বুঝিয়ে দিতেন পারেন। আর সন্তানরাও আলিঙ্গন পেলে আরাম অনুভব করে, নিরাপত্তা ও আস্থা পায়।

২. গবেষকরা বলছেন, যত ভালোমন্দই খাওয়ানো হোক না কেন , শিশুর মানসিক ও শারীরিক গঠনে তার মা-বাবার আদর বা স্পর্শ প্রয়োজন। শিশুর শারীরিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অক্সিটোসিন হরমোন। এটি ভালোবাসার হরমোন হিসাবে পরিচিত। শিশুকে আলিঙ্গনের মধ্য দিয়ে এই হরমোনের নিঃসরণ ঘটে।

৩. এছাড়া সুস্বাস্থ্যের জন্যও আলিঙ্গন জরুরি। অক্সিটোসিন হরমোনের নিঃসরণ শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি শরীরে থাইরয়েড হরমোনের লেভেলও কমিয়ে দেয়। এ কারণে শিশুর ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে ওঠে।

৪. শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও আলিঙ্গন খুব কাজে দেয়। শিশু রেগে গেলে, জেদ করলে বা খুব কান্নাকাটি করলে মা আদর করে জড়িয়ে ধরলেই কিন্তু সব ঠান্ডা হয়ে যায়। অনেক মা–বাবা মনে করেন, শিশু যখন রেগেমেগে চিৎকার করে, তখন আলিঙ্গন করলে উল্টো আরও জেদ বাড়বে, আসলে তা ভুল।

৫. যে শিশুরা বেশি আলিঙ্গন পায় তারা নিরাপদ বোধ করে এবং দেখা যায়, পরবর্তী বয়সে তারা বিভিন্ন আবেগ আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।

৬. কোনো কাজ করার আগে, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভয় কমে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় প্রকাশ বয়সের সঙ্গে একাকিত্ব বাড়তে থাকে, যা স্ট্রেস বাড়িয়ে তোলে। প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার মাধ্যমে একাকিত্ব ও স্ট্রেস কাটানো যায়।