ঠোঁট রাঙাতে লিপস্টিক ব্যবহার করা হয়। ফ্রান্সে লিপস্টিকের প্রচলন হয়েছে ১৮৮০ সালে। তবে ঠোঁট রাঙানোর প্রচলন তার আগেও ছিল। নারীরা ফল ও গাছের রস থেকে তৈরি রং ব্যবহার করে ঠোঁট রাঙাতেন। সুমেরীয় সভ্যতা ও মিশরীয় সভ্যতায় এই রীতি ছিল। এরপর রোমান সভ্যতায় নারী ও পুরুষ উভয়ই ঠোঁট রাঙাতেন। তারা আঠার সাহায্যে জাম জাতীয় ফল, লাল সীসা, মাটি, মেহেদি, পান পাতা, বিভিন্ন পোকামাকড়, গাছ-গাছড়া এবং বিভিন্ন খনিজ। এগুলো ব্যবহার করা হতো আঠার সাহায্যে।উচ্চবিত্ত মেসোপটেমিয়ানরা এই রীতিতে পরিবর্তন আনেন। তারা ঠোঁট রাঙাতে রত্নচূর্ণ ব্যবহার শুরু করেন। মিশরীয়রা রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করতেন। ফারাও রাণী ক্লিওপেট্রা ঠোঁটে গাঢ় লাল রঙ ব্যবহার করতেন। ঠোঁট রাঙানোর এই রীতি এখনও বিদ্যমান। বর্তমানে ম্যাট লিপস্টিকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। বলা হয়ে থাকে, যেসব নারী ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করতে পছন্দ করেন, তারা বাস্তববাদী। তাদের আত্মসম্মানবোধও বেশি। কিন্তু ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করলে অনেক সময় ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। ঠোঁট ফাটা রোধে করণীয় জেনে নিন।
রাতে ঘুমানোর আগে আগে ঠোঁটে নারকেল তেল বা আমন্ড তেল মালিশ করতে পারেন। এতে ঠোঁটের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
সপ্তাহে একদিন মধু ও চিনির মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে নরম ব্রাশ বা সুতি কাপড় দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এতে ঠোঁটের মৃত কোষগুলো উঠে যাবে।
গোসলের পরে ঠোঁটে সামান্য লিপ বাম বা শিয়া বাটার মেখে নিতে পারেন। এতে ঠোঁট কোমল হবে।
লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁটে প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করলেও ঠোঁট শুকিয়ে যাবে না।
তুলির মাধ্যমে লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। তুলির টান যেন ঠোঁটের মধ্যভাগ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। লিপস্টিক ব্যবহারের পরে একটি টিস্যু পেপার দিয়ে অতিরিক্ত লিপস্টিক মুছে ফেলুন। খেয়াল রাখতে হবে লিপস্টিকের পরতে যেন কোনও ভাঁজ না পরে।
গার্ডিয়ান এবং টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে