বৃষ্টির দিনে কেমন হবে পোশাক

রোদ কিংবা বৃষ্টিতে তাড়াহুড়ো আর অস্বস্তি থাকে অনেক। কিন্তু বাইরে বের হতে গেলে বাধে অনেক বড় বিপত্তি। পরনের পোশাক নিয়ে ভাবনা তো থাকেই। আবার নিজেকে সামলে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েও তো ভাবতে হয়। ফ্যাশনে যারা কোনো আপস করতে চান না তাদের তাহলে উপায় কি? কাপড় যেন আরামদায়ক হয় আর পোশাকটাও যেন হয় জুতসই, রোদ-বৃষ্টি থেকে দেবে স্বস্তি আবার ফ্যাশনেও যোগ করবে নতুনত্ব। সেটাই বা কিভাবে?

কাপড় হবে সুতি

এই সময় পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে তালিকার প্রথমেই রাখা যেতে পারে সুতি কাপড়ের পোশাক। এ ধরনের পোশাকের ভেতর সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। ফলে ঘেমে গেলে বা বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সহজেই শুকিয়ে যায়। এ সময়ের উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এটি খুব আরামদায়ক।

লিনেনও বাছাই করা যায়

কাপড় হিসেবে লিনেন টেকসই। এটি সহজে আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং তাপ কুপরিবাহী। এজন্য গরমে এটি পরা যায়। এই কাপড় অল্প পানি পড়লে দ্রুত শুষে নেয়।

আছে শিফন

গরম ও বৃষ্টির সময় শিফনের কাপড় খুব আরামদায়ক। এগুলো ইস্তিরি করার ঝামেলাও থাকে না। পাশাপাশি ঘাম ও বৃষ্টিতে ভিজলে সহজে শুকিয়ে যায়। এ সময়ে কয়েক সেট শিফনের পোশাক বানিয়ে রাখতে পারেন।

বাছাই করবেন কিভাবে

গরমে বেছে নিতে পারেন কুর্তি, ফতুয়া, মিডি ড্রেস, স্কার্ট, কো-অর্ডস, টি-শার্ট, টিউনিক অথবা কাফতান। থ্রিপিসের ক্ষেত্রে নরম সুতি অথবা বাটিক বা টাই-ডাই পছন্দের তালিকায় রাখা যেতে পারে। প্রচণ্ড গরম, তার ওপর যেকোনো সময়ে বৃষ্টি নামতে পারে। এ সময় স্ল্যাব কটন, লিনেন, পাতলা ধরনের সিল্কের তৈরি ফতুয়া, সিঙ্গেল কামিজ, কুর্তি আদর্শ। হ্যান্ডব্লক প্রিন্ট করা হলে এসব কাপড় অফিস থেকে শুরু করে পার্টিতেও পরে যাওয়া যায়। এছাড়া এগুলো সহজে পরিষ্কার করা সম্ভব।

কেমন হবে রঙ

পোশাকের রং নির্বাচনে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গাঢ় রঙের কাপড় রোদের তাপ দ্রুত শোষণ করে বলে গরমও বেশি অনুভূত হয়। রোদ থেকে বাঁচতে হালকা রঙের পোশাক নির্বাচন করুন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপত্তিতে পড়তে হতে পারে। সাদা বা অফ হোয়াইটের মতো হালকা রঙের পোশাকে বৃষ্টির পানি পড়লে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। আবার ফাঙ্গাস বা ছিট পড়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই এ সময় হালকা সবুজ, নীল, বেগুনি, ধূসর, হালকা হলুদ এসব রংকে পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।

সতর্কতা একটু দরকার

অনেকে আঁটসাঁট জামাকাপড় পরতে পছন্দ করলেও গরমের জন্য ঢিলেঢালা পোশাক ভালো। এ ধরনের পোশাকে গরম লাগে বেশি এবং অনেক সময় ত্বকে রক্তসঞ্চালন ঠিকভাবে হয় না। ফলে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে।