আলো থাকলে যেমন অন্ধকার থাকে তেমনি জীবনে প্রেম করলে প্রেমিকার চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতেই হবে। অনেক নারীই প্রেমিকের কথায় কথায় চিৎকার করেন। যার ফলে পুরুষেরা দিশেহারা হয়ে যান। তারা এই সমস্যা থেকে বেরোনোর রাস্তা খুঁজে পান না। যারা রেগে গেলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না, তাদের জন্য রইল ঝগড়া থামানোর কিছু অব্যর্থ পরামর্শ
চুপ করে যান
সবচেয়ে প্রথম ও বাস্তবসম্মত উপায় হচ্ছে এক পক্ষকে শান্ত থাকতে হবে। উল্টো দিকের মানুষটি খিটমিট করলে আপনিও যদি উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হতে সময় লাগবে না। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন, বোঝার চেষ্টা করুন যে কেন তিনি এমন করছেন। আপনি শান্ত থাকলে ওপর পক্ষ একা একা বেশিক্ষণ খিটিমিটি চালিয়ে যেতে পারবেন না।
সবকিছুকে মনের গভীরে নেবেন না
রাগের মাথায় মানুষ অনেক কিছুই বলে, সবকিছুকে সিরিয়াসলি মনে নিয়ে নেবেন না। ছোটখাটো অনেক কিছুই সম্পর্কে ঘটতে পারে, সেসব দেখেও না দেখার ভান করুন। পাত্তা দিলেই ঝামেলা বাড়বে।
সুযোগ বুঝে আলোচনা করুন
কথা বলে বহু সমস্যার সহজ সমাধান করা যায়। তাই আজই এক বার প্রেমিকার সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন। তাকে বুঝিয়ে বলুন যে, এ ভাবে আপনার উপর চিৎকার করা তার উচিত নয়। এমনটা করলে আদতে সমস্যা হয়। আপনি সম্পর্কের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। এমনকী আপনাদের মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। আশা করছি, এই ধরনের কথা বলার পর প্রেয়সী আপনার কথা বুঝবেন। এর পর তিনি নিজেকে ঝটপট বদলে নেবেন।
তাকে খুশি করার চেষ্টা করুন
একটা মানুষ অকারণে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায় না, বরং প্রচণ্ড মানসিক অশান্তি থেকে এটা হয়। কারণটা যদি জানতে নাও পারেন, চেষ্টা করুন প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার, সারপ্রাইজ দেওয়ার। তিনি আপনার হবু বর বা বউ, আপনি নিশ্চয়ই জানেন তাকে কীভাবে খুশি করতে হয়?
সম্ভব হলে তার চাপ কমান
যে কারণে মানুষটি এমন খিটখিটে স্বভাবের হয়ে উঠেছেন, সম্ভব হলে তার সেই চাপটি কমানোর ব্যবস্থা করুন। পারিবারিক হোক বা আর্থিক, অফিসের কাজ হোক বা বাড়ির কিংবা কোনো মানসিক কষ্ট- পাশে একজন মানুষ পেলে সকলেরই ভালো লাগে।
প্রশংসা করুন, ভালোবাসা দেখান
প্রশংসা ও ভালোবাসা এমন দুটি জিনিস, যা যেকোনো মানুষের মন নরম করতে বাধ্য। সঙ্গী খিটখিটে স্বভাবের হয়ে গেলে আপনি বাড়তি ভালোবাসা দিয়ে অভাবটা পূরণ করে দিন।