উৎসব এলে ব্যস্ততা বাড়ে, খাওয়া দাওয়া বেশি হয় কিন্তু ঘুম কম হয়। এতে সামগ্রীক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। উৎসবে সুস্থ থাকার জন্য কিছু নিয়ম মানতে পারেন।
বুঝে-শুনে রাস্তার খাবার খান: রাস্তা থেকে পানি, শরবত, কোমল পানীয় কিনে না খাওয়ায় ভালো। ডায়রিয়ার সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য এই নিয়ম মানতে পারেন। হোটেল-রেস্তরাঁর খাবার সব সময়ে স্বাস্থ্যসম্মত নাও হতে পারে। এজন্য বুঝে খাবেন। বিশেষ করে শিশুকে নিয়ে বের হলে ভুলেও রাস্তার খাবার কিনে দেবেন না। এমনকি আইসক্রিমও নয়
শরীরচর্চা জরুরি: উৎসবে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া একটু বেশিই হয়। এ সময় নিয়মিত রুটিনে থাকা সম্ভব হয় না। এমন পরিবর্তনে শরীর হঠাৎ মুটিয়ে যেতে পারে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাই নিয়মিত হালকা শরীরচর্চা করুন। প্রতি দিন ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা থাকলে স্ট্রেচিং, ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করতে পারেন। এ ছাড়া স্পট জগিংও করতে পারেন। এতে পায়ের জোর বাড়বে। মন ভালো রাখতে প্রাণায়াম, শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ক্লান্তিভাব দেখা দেবে। এতে উৎসবের আনন্দই মাটি হয়ে যাবে। পানির ঘাটতি থাকলে অল্প হাঁটলেও শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সুতরাং পর্যাপ্ত পানি পান করুন। শরীরের টক্সিক বের করে দেওয়ার জন্য ডিটক্স পানীয় পান করতে পারেন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে মৌরি ও মেথি ভেজানো পানি পান করলে ভালো ফল পাবেন। এতে ত্বকের ময়েশ্চারাইজারও ঠিক থাকবে।
জি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকে উৎসবের রাতের দেরি করে ঘুমাতে যান আবার সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়েন। এতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এতে বিপাক সমস্যা তৈরি হয়। যা সামগ্রিক সুস্থতায় প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর বিশ্রাম নিতে পারবে এবং এবং পুনরুজ্জীবিত হতে পারবে।