ইফতারে খান ছোলা

সারা বছরই ছোলা খাওয়ার চল দেখা যায়। রমজান মাসে ইফতারিতে ছোলা থাকেই। কেউ মসলায় ভেজে খান কেউ আবার কাঁচাই খেয়ে থাকেন। যে যেভাবেই খান না কেন, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। ছোলায় রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে (প্রায় ৫০ গ্রাম) ছোলা খেলে মাছ-মাংসের ঘাটতি পূরণ হয়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ছোলায় আমিষের পরিমাণ গোশত, মাছ বা ডিমের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান। ছোলার গুণাগুণ এবং অপকারিতা নিয়ে কিছু কথা— মসলায় ভাজা ছোলা এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। মসলা যোগ করে ছোলা তেলে ভাজলে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই যাঁরা ক্যালরি বাড়াতে চান তাঁদের জন্য এটি ভালো। কিন্তু ওজন বাড়তে দিতে চান না কিংবা যাঁদের আলসার আছে, তাঁদের না খাওয়া উচিত। এ ছাড়া কেউ কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে মসলা যোগ করে থাকেন ছোলায়, এমন গুরুপাক খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। এতে পেট ফাঁপা হয়। আর বাইরে মসলায় ভাজা ছোলা খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। দোকানে ভাজা ছোলার তেলে রেনসিডিটির পরিমাণ সাধারণত বেশি থাকে। কাঁচা ছোলা এতেও আঁশের পরিমাণ বেশি। ক্যালরি রয়েছে। সাধারণত কাঁচা ছোলায় অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বেশি থাকে মসলায় ভাজা ছোলার চেয়ে। তাই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর কাঁচা ছোলা খেলে শক্তি পূরণ হয়। ওজন ধরে রাখা এবং আলসারের সমস্যা থাকলে কাঁচা ছোলা খাওয়া ভালো। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে আদার সঙ্গে খেলে শরীরে প্রোটিন ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়। এটা শক্তি বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবান করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।